Monday, May 18, 2020

কোভিড ঊনিশঃ মানবীয় মর্যাদা ও নতুন সংবিধান - ভূবন মুন্সী



করোনা সংকটে সাবান পানি আর কোয়ারান্টাইন কার্যকরী ভূমিকা রাখে। গোটা বিশ্বের সাথে আমরাও সংকট উৎরে যাবার জন্য একই পন্থা অবলম্বন করছি।

তবে কোয়ারান্টাইন না মানা ( যাপনের প্রয়োজনে ঘর থেকে বেরিয়ে আসা মানুষ, বিশেষত পিতৃ বয়সী মানুষ, যাপনের প্রয়োজন মিটলে যাদের বাসায় অবসরে থাকার কথা) মানুষ গুলোকে শাস্তি প্রদানের ধরন দেখে দেশবাসীর ক্ষুব্ধতা প্রকাশ, যা মূলত সংকট কিংবা যে কোন পরিস্থিতিতে মানবীয় মর্যাদার পতাকাকে ভূলুণ্ঠিত হতে না দেওয়ার বহিঃপ্রকাশ। অর্থাৎ যাপনে শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানবীয় মর্যাদাকে নিশ্চিত করা আবশ্যক। আর প্রথম শ্রেণির ক্যাডার দ্বারা এমন কার্য করা, কোন ব্যক্তি মানুষ নয় এটা আমাদের সামাজিক-রাষ্ট্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার নৈতিক গলদ টুকু প্রকাশ করে। এটা লজ্জার এবং এ লজ্জা ব্যক্তি রাষ্ট্র সবার, বিশেষত স্বাধীন দেশে আইন- প্রশাসন ও শিক্ষানীতি প্রণয়নের সাথে জড়িত কর্তাব্যক্তিগণ ভয়ংকর লজ্জায় নিজেদের শোধরে নিক।...

বস্তুত এ সংকট বিশ্ববাসীকে নতুন করে ভাবতে শেখালো। সংকট বৈশ্বিক, বৈশ্বিক ভাবে একে নির্মূল করতে পারলেই আমরা সেফ।....

এ সংকট কতদিন টানতে হবে জানা নেই... তবে আর এক দুই পক্ষ কালের মধ্যেই রাষ্ট্র নায়কদের যোগাযোগটা বৃদ্ধি পাবে। ভিডিও বৈঠক উঠে আসবে মিডিয়ার পর্দায়, খবরের কাগজে। সার্ক, ওআইসি, জি-৮, জি-৭৭, ইউনিয়ন সমুহ সমস্যা সুরাহার প্রশ্নে পারস্পরিক মত বিনিময় করবে। অর্থনৈতিক কারণেই কিছুটা খিস্তিখেউড় পরিবেশ তৈরি হবে, দোষা-দোষী চলবে, দলাদলি হবে। লালন গাইবে- এসব দেখি কানার হাঁট বাজার!

করোনা সংকট সমাধানে সাবান সচেতনতা ও সঙ্গরোধ কার্যকর ভূমিকা পালন করলেও, অর্থনৈতিক সংকটটা সাবান/সোডা সচেতনতা দিয়ে সম্ভব নয়।

...সংকট সমাধানে বৈশ্বিক পরিকল্পনা অনিবার্য, বিশেষত সংকট পরবর্তী অর্থনৈতিক সংকট সমাধানে। এটা রাষ্ট্র সমুহের পারস্পরিক বিশ্বাস, সহযোগিতার উপর নির্ভর করে না, এটা নির্ভর করে রাষ্ট্র সমুহের পারস্পরিক শর্তগত সম্পর্কের উপর- যা বৈশ্বিক রাষ্ট্র কাঠামোকে অনিবার্য করে তুলে।

বৈশ্বিক রাষ্ট্র কাঠামোর প্রশ্নে বৈশ্বিক সংবিধানটা জরুরী, আর এ জন্য মার্ক্স পরবর্তী দর্শনগত বন্ধ্যাত্বেদীর্ণ পৃথিবীতে নয়া দর্শনের আবির্ভাব আবশ্যক।
তাই নয় কি বন্ধু?


২৮.০৩.২০২০

No comments:

Post a Comment