Monday, May 25, 2020

প্রাতিষ্ঠানিক সংকটে রাজনীতি - ভূবন মুন্সী


প্রাতিষ্ঠানিকতার অনুপস্থিতিতে ব্যাক্তিই প্রতিষ্ঠানের সর্দার হয়ে উঠে, তার অঙ্গুলি হেলনে বা ইশারা ইঙ্গিতে চলতে থাকে প্রাতিষ্ঠানিক ঘোড়া। পরিবার সম্পৃক্তরাই সে ঘোড়াতে চড়ে দাপটে নষ্ট করে সাজানো বাগান। প্রকৃতিগত সত্যে সর্দার এর অনুপস্থিতিতে যেন তেন লোক পিঠ চাপে সাওয়ারী হয়ে এবং সর্দারিজমে সে সুযোগটুকু থাকে। কাজেই প্রতিষ্ঠানে প্রাতিষ্ঠানিকতাকে প্রতিষ্ঠিত করাই সৎ, যোগ্য ও ব্যাকারণিক কাজ। এর বাহিরে গিয়ে চেঙ্গিস খান, হিটলার কিংবা আকবর হয়ে উঠলেও বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য ঠেকানোর সক্ষমতা আজ কারো নেই। সাময়িক বাহবা জুটলেও অশান্তির কারন হয়ে সে বা তারা দ্রষ্টব্য হবে ইতিহাসে।

আর "রাষ্ট্র ও রাজনীতি" প্রাসঙ্গিকতায় রাজনীতিতে প্রাতিষ্ঠানিক চর্চাটা খুব জরুরী। আইনের শাসনের নিশ্চয়তা, রাজনৈতিক পরিমন্ডলে সবার অন্তর্ভুক্তি কিংবা রাষ্ট্র ক্ষমতাকে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক স্বার্থে ব্যবহার ঠেকাতে যথাযথ পদক্ষেপ রাজনীতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরন। রাষ্ট্র হচ্ছে প্রতিষ্ঠান, আর প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তি মূখ্য থাকলে ব্যক্তি বাঘ হয়ে উঠা তাজ্জবের কিছু নয়। তবু আমরা মাথাওয়ালারা দ্রষ্টব্য পথ এড়িয়ে নানান ফতোয়া নিয়ে ইলেক্ট্রিক ওয়ালে হাজির হই। আমরা জনগন সাত পাঁচ বয়ান শুনে ঘুম থেকে জেগে দেখি সেই পুরনো দিন।

রাজনীতির বিপরীতে যেমন রাজনীতিই থাকে, তেমনি রাজনৈতিক সংকট সমাধান রাজনৈতিক পথে রাজনীতিকদেরই করতে হয়। মুচি সেলাই জানলেও অপারেশন থিয়েটারে ডাক্তারেরই প্রয়োজন পড়ে। তবু দেখি, বই কানা দিচ্ছে পথ স্বার্থ কানার ইচ্ছে মতো।

বিংশের একুশ থেকে একাত্তর- আজকে দ্রোহের দিনগুলি কেমন ম্লান! পরম্পরা হারালে ওল্ড ইজ গোল্ড না থেকে পিতল হয়ে ওঠে, এটাই সত্য। একবিংশের একুশ আগত প্রায়, তবু হেড আসার কথা থাকলেও টেল এসে দাঁড়িয়ে আছে খাম্বা হয়ে।

তবে, বৌদ্ধক করাতে বাধার খাম খুঁটি কেটে আজ প্রশস্থ করি প্রাত্যহিক পথ। প্রাতিষ্ঠানিকতার পথ ধরে "সূ্র্য উদয় অস্তাচলের"  দ্বীপ হতে শুরু হোক আধুনিক রাজনীতি।

১৩.০৭.১৯

No comments:

Post a Comment