Thursday, December 23, 2021

ফুলগুলো সব কোথায় হারালো - হাসান রাকিব।

ফুলগুলো সব কোথায় হারালো
হাসান রাকিব
হাসান রাকিব 

 হাওয়া মুভির রিভিউ পড়তে ক্লিক করুন।

একদিন তোমাকে বৃষ্টিভেজা গোলাপ দিলাম
তুমি গোলাপটা নিয়ে বৃষ্টিগুলো আমাকে ফেরত দিলে
তিস্তার মতো আটকে গেল
আমদের মধ্যে পানিবন্টন চুক্তি
ফলে একপাশে খরা একপাশে প্লাবন ভূমি 
সেই গোলাপ আমাদের মধ্যে শান্তি এনে দিতে পরেনি
যেমনটা পারেনি
সমাজতন্ত্র, গনতন্ত্র, পুঁজিবাদ, প্রজাতন্ত্রের রাজনীতি
শোষণ বাড়লো
দূষণ বাড়লো
বাণিজ্যিকভাবে বাড়লো ফুলের চাষ
মানুষের হৃদয়ের উর্বরতা বাড়লো না
ঐ যে একটা ফুল আছে
যে লাবণ্যের কথা বলে
আনন্দের কথা বলে
সাম্যের কথা বলে
যুদ্ধের মাঝখানে দাঁড়িয়ে শান্তির কথা বলে
সেই ফুলটা কোথায় হারালো?
ফুলগুলো সব কোথায় গেল? 
তরুণ হৃদয় থেকে ফুলগুলো সব কোথায় চলে গেল?

কলমে কবি হাসান রাকিব।

Tuesday, December 21, 2021

কবি তন্ময় সাহা'র আলোচনা- ২

কবি তন্ময় সাহার আলোচনা-২

কবি তন্ময় সাহা



ডুবে যাবো। যেহেতু ডুবে যাওয়া যায় এবং উদ্ধার করতে পারলে ডুবুরি পারিশ্রমিক দিয়ে আরো কিছু মানুষের হাসি ফোটাতে সক্ষম তাই ডুবে যাওয়াই শ্রেয়। 

জলে ডুবে যাবে নাকি অতলে? জল উপমা মাত্র আসলে সবই অতল, মনকে ধরা যায়! কতটুকো ভেদ করা যায় মাটির গর্ভ! ভেতরেও ডুবে যাওয়া যায়। 
ভেতরে ডুবে গেলে উদ্ধার করবে কে? উদ্ধার কর্তা হিসেবে তখন নিজেকেই আবির্ভূত করে মানুষ আর যাকে উদ্ধার করে তার কাছে থাকে গুপ্তধনের সুচারু নকশা, যার লোভে মুহুর্মুহু মানুষ আসতে থাকে এবং চাটতে থাকে পা। 

কেবল কিছু সংখ্যক মানুষ ডুবে যাবার বাসনা নিয়ে আসে, জানতে চায় কৌশল। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তি তখন জানিয়ে দেয় এবং মানুষ গুলো কিছু কিছু করে ডুবে যায় আবার কিছু ব্যর্থ হয়ে চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে। 

গুপ্তধন লোভীরা আসে-যায়, পথ বদলায়, পরিকল্পনা করে নকশা চুরির, গুমের এবং হত্যার। এরমধ্যে ডুবে যাওয়া মানুষ গুলোও ফিরে আসে গুপ্তধনের নকশা নিয়ে, এভাবেই চলতে থাকে লোভী এবং ডুবে যাওয়া মানুষের নকশার সাইকেল। 

এক রাস্তা থেকে বের হতে থাকে ক্রমশ অসংখ্য রাস্তা। 
কেউ ডুবে যাচ্ছে, কেউ লোভ করছে কেউ চুরি, গুম, হত্যা ইত্যাদি করছে, কেউবা আবার এদের শখ, বিলাসিতা, আপ্যায়ন এসব করছে। এতো এতো রাস্তা এক গন্ত্যব্য ঘিরে ধীরে ধীরে গড়ে উঠতে থাকে। 

কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে যাদের কাছে নকশা রয়েছে তারা কেউই গুপ্তধনের নকশা দেখতে পারে না, তার কারণ হচ্ছে দেখার জন্য যে আলোটা প্রয়োজন সেই আলোটা যার কাছে আছে সে বসে থাকেন গভীর অন্ধকারে, সেই অন্ধকার এতই অতল যে ডুবে যেতে যেতে মানুষ নবারুণের কবিতার ভাষায় বলে ওঠে "এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ নয়" এবং ফিরে আসে আবারো সেই নকশা হাতে। চলতে থাকে ব্যবসা-বাণিজ্য আর উনি অন্ধকারে বসে আলোর স্বপ্ন দেখান। 

আলোচনা-২ 
তন্ময় সাহা

Saturday, December 11, 2021

দায়হীন সর্দারপনা স্বৈরাচারী - ভূবন মুন্সী।

দায়হীন সর্দারপনা স্বৈরাচারী
ভূবন মুন্সী
messenger of cosmology 




পথশিশু ; যাদের মা বাংলাদেশ, রাষ্ট্র একান্ত অভিভাবক। মা বাকরুদ্ধ, উদাসীন অভিবাবকের তুমুল অবহেলা পেয়ে নষ্ট হয়ে গেলো তারা। একটি শিশুও নক্ষত্র হয়ে জ্বলে উঠলো না। অথচ জ্বলতো। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর আমরা পঞ্চাশটি অর্জন অবশ্যই বলতে পারবো, কিন্তু একটি ব্যর্থতাই আমাদের সমস্ত অর্জনে আগুন জ্বালিয়ে দেবে, ছাই করে দেবে। মানুষের বাচ্চা যেখানে অনাদরে, প্রকৃতির অপর বাচ্চাদের শরীরে আরও কুৎসিত হাত পড়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। অথচ নিজেকে সৃষ্টির সেরা দাবী করলে সকল জীবের সেবা বা রক্ষণাবেক্ষণের ঠিকাদারি মানুষের কাঁধে বর্তায়। বেহুদা মাতব্বরি কে মানবে? দায়হীন সর্দারপনা স্বৈরাচারী। 

পঞ্চাশে এসে রাষ্ট্র শপথ করুক, একটি পথ শিশুও আর অনাদরে থাকবেনা। রাষ্ট্র স্বয়ং তার মাতৃত্বের ভূমিকায় থেকে নক্ষত্র করে দেবে প্রত্যেকটি শিশু। আমার আপনার শিশুর মতোন পথ শিশুও জ্বলবে। সংসদে পথ শিশুও কথা বলবে।

ভূবন মুন্সীর আরও লিখা -

মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল এর লিখা

আসিফ ইকবালের লিখা


থাকো দেশে অথচ গীত গাও নাঙের - ভূবন মুন্সী।

থাকো দেশে অথচ গীত গাও নাঙের
ভূবন মুন্সী
messenger of cosmology 



"থাকো দেশে অথচ গীত গাও নাঙের " প্রবাদ  প্রতিম বাক্যটি  অধিক স্পষ্ট হয়ে উঠে যখন মগজটা স্বদেশের না হয়ে - হয়ে উঠে ভিনদেশের । 

আর মগজ স্বদেশের হয়ে ওঠে  অর্থাৎ যথাযথ স্বকীয় স্বদেশ বোধ গড়ে ওঠে যাঁদের নিপুণ কারিগরি সংগ্রামে ও দক্ষতায় তাঁরা বুদ্ধিজীবি । তাঁদের প্রচেষ্টায় বোধের ক্রিয়াতে জাগ্রত হয় প্রতিটি মানুষ । আর একাত্তরে বিজয় নিশ্চিত জেনেও বিরোধী শক্তি  সুকৌশলে নিকেষ করে এদেশের বুদ্ধিজীবি শ্রেণীকে। আমাদের তৈরি হয় চেতনাগত পুঙ্গুত্বের পথ। 

একাত্তরে রক্তদামে আমরা যেন কিনেছি চশমার স্বদেশী ফ্রেম, লেন্সদ্বয় এখানো রয়ে গেছে ভিনদেশীয় । ফলে স্বদেশ কে স্বদেশের মতো করে আজও দেখা হয় নি - দেশটা হয়ে ওঠেনি দেশবাসীর ; সেই সাথে বীর সেনানী শহীদ বুদ্ধিজীবি থেকে গেছে যথাযথ স্মরণ-শ্রদ্ধা ও ইতিহাসের অন্তরালে, দেশজ চেতনাহীন দেশটাও এগিয়ে যায়নি আপন কক্ষপথে । 

দেশ এগিয়ে যাওয়ার শর্তে স্বদেশ বোধ যেমন জরুরী তেমনি এর শুরুটা হবে বোধ জাগানিয়া শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রাষ্ট্রীয় দ্বায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে । 

জৈবিক চোখ থাকলেও বৌদ্ধিক চোখের অন্ধত্বে দেখা  হয়ে ওঠেনি 'দেখাতব্য'। বৌদ্ধিক চোখের ভাঁজ খোল "রাষ্ট্রীক ঠাকুর"।
                        রচনা: ডিসেম্বর 2017
                               ভূবন মুন্সী

Friday, December 10, 2021

আমার উড়বার স্বাধীনতা নেই - মিঞা মাসুদ।

আমার উড়বার স্বাধীনতা নেই 
messenger of cosmology
মেসেঞ্জার অব কসমোলজি 


ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেলো এক যুবক, বললো- আসি মা, আর কোন শব্দ নাই, চোখে আগুনের জল, পুকুর পাড়ের সুপারি গাছ তল দিয়ে দ্রুত হেঁটে যাচ্ছে, খেতের আইল দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে, গাভীন ধান খেত, সূর্য ডুবছে তখন, আকাশে হালকা আগুন, দোয়েল যেন কারো প্রতীক্ষায় ডালে বসে, যুবক হারিয়ে গেল দূরে, গুলি, বেয়োনেট, চিৎকার, রক্ত, খুন, পাল্টা আগুন, প্রতিঘাত, বিজয় উল্লাস, যুবক কী চেয়েছিলো, কেন চেয়েছিলো, কেন দাবাতে চেক দিতে এগিয়ে দিলো আপন জীবন, পঞ্চাশ পেরিয়ে গেলো, দোয়েল এখনো কার যেন প্রতীক্ষায়, গুলি, বেয়োনেট, চিৎকার, রক্ত, খুন, পাল্টা আগুন নেই, যুবক নেই, যুবকের কী স্বপ্ন ছিলো তাও কেউ জানেনা, পঞ্চাশ বছর ধরে পতাকা উড়ছে, পতাকা উড়লে কি হয়, কতটুকু হয়, কেমন করে হয়, পঞ্চাশ!  দোয়েলের চোখে এখনো বিরহ, পাখি উড়লে আমি তাকিয়ে থাকি, আমার উড়বার স্বাধীনতা নেই কেন?