Wednesday, December 23, 2020

ক্রান্তিকাল - ভূবন মুন্সী।

মেসেঞ্জার অব কসমোলজি

ক্রান্তিকাল  - ভূবন মুন্সী  

যখন যে দর্শন বর্তমান থাকে তাকে আধেয় করে গড়ে উঠে সমাজ কাঠামো। মানুষ ও তার সমাজের প্রত্যেকটি উপাদানের অভ্যন্তীরন চালিকা শক্তি সে দর্শন। ভালো বা মন্দ সবটা নির্মিত হয় সে দার্শনিক আগুনের আঁচে। সৎ এবং অসৎ দুটি ভিন্ন পথ হলেও এক গন্তব্যে টেনে নিয়ে চলে মানুষকে সব। আজকে যেমন টাকা - অর্থাৎ সৎ এবং অসৎ উভয়ের লক্ষ্য আত্মকে ঘুচানো, একটু আয়েশী আরাম নেয়া, অর্থাৎ ভালো বা মন্দ যাই হোক ব্যক্তিকে ভেতরে ঠেঁসে নিয়ে দৌঁড়ে চলে জীবন।


রিক্সা চালক থেকে পাইলট, ভিখারি থেকে বিল গেটস কারো চরিত্রে গন্তব্য অর্থে মৌলিক কোন পার্থক্য নেই। বস্তিপাড়া থেকে হোয়াইট হাউজে একই গল্পের আনাগোনা - ভিন্ন ভিন্ন মৌলিক কোন গল্প নেই। নৌকা থেকে রকেট সব যন্ত্র একই স্বার্থে ব্যবহৃত হয়। মোসাদ কিংবা ইউনিসেফ - একই কাজীর কেরানী। দান অনুদানে মৌলিক কোন পরিবর্তন সাধিত হয়না। বাহ্যিক উপসর্গে ভিন্নতা এলেও স্থায়ী কোন সমাধান হয়না  অর্থাৎ জীবাণু নির্মূল না হয়ে প্রকোপ বাড়ে কমে মাত্র, সুস্থতা আসেনা।


আজকে যে দস্যু, কালকে সে দরদী হয় অথবা দরদী দেউলিয়া হয়। শিকার হয় মানুষ মানুষের হাতে- ভালো মন্দের হাতে, মন্দ অতি মন্দের হাতে, অতিমন্দরা পরস্পর ডাইনোসর। ব্যক্তি স্বার্থবাদিতার প্রবল ঝোঁকে বেঁচে থাকা, ভালো থাকা হয়না আর।

ভালো থাকার প্রবল চেষ্টা বা প্রত্যাশা থাকার পরও মন্দ থাকার মূল কারণ অভ্যন্তরে আঁটালির মতোন সেঁটে থাকা কেউটে দর্শন। গতির কারণ অভ্যন্তরীন। তার পরও ভাসা ভাসা দ্রষ্টারা এমন সব উদ্ভট তত্ত্ব, এমন সব মুক্তির সওগাত পথ করে নিয়ে আসে সম্মুখে - পৃথিবীটা যেন এক পাগলা গারদ কিংবা মাতালদের কারাগার!


ইতিহাস খোলে দেখ। ইতিহাসের পথ বেয়ে বিজ্ঞান নিষ্ঠতায় যে সত্য উন্মোচিত হয়, যা মানব মুক্তির পথকে বাস্তব ভিত দেয়, যা মানবীয় মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসে পরস্পরিক সঙ্ঘবদ্ধতার পথ নিয়ে- তায় অনিবার্য বদলের পথ হয়ে প্রসারিত হবে আজ। লগি পুতে বসে থাকলে চলবেনা, ভিকটিম যেহেতু আমরা- আমরা সবাই - সবাইকে আসতে হবে গভীর প্রত্যয়ে। যাই থাকুক না কেন জীবনের সম্মুখ অগ্রযাত্রাকে আমরা থামিয়ে রাখতে পারিনা। এ যাত্রায় যাঁরা মানবীয় মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় বিরোধী নন, তাঁরা সবাই সহযাত্রী। 

২৪.১২.২০২০

বিজ্ঞাপনঃ 

দোকান