Thursday, July 23, 2020

যৌবন যেন যৌনতার ডাকনাম - মনীষা মোহাম্মদ।




জোনাক হয়ে যে আগুন জ্বেলেছি বুকে
সূর্যের মতোন তা বিকশিত হোক।

এক গভীর অনিশ্চয়তা আর গলিত অন্ধকারে টালমাটাল পৃথিবী। রোবটিক চোখ মেলে যখন ন্যাংটোপনা সহ যৎযাবতীয় বাটপারি ও নোংরামি স্বাভাবিক ঠেকছে আজ, তখন বুঝতে বাকি নেই এক কৃষ্ণ ঈগল ঠুকরে খাচ্ছে পৃথিবীর সফেদ বুক।

ফ্লাশ দিলেই ক্যামেরা মুচকি হাসে
সে জেনে যায় তোমার বুকের ক্ষত

পোদ্দারের হাতে জীবন বিক্রি হচ্ছে সিটিসেল রেটে। বণিক ধর্মই ক্রমশ গ্রাস করছে ঘর-সংসার-বন্দর। কী এক গভীর ক্ষত বৃত্তাকারে ছড়িয়ে যাচ্ছে বুক-দেশে, চুমু খাওয়ার এক টুকরো মানচিত্রও খোঁজে পাচ্ছি না আজ। কিতাবের সেই সমস্ত অগ্রিম বয়ান যেন সত্য হয়ে উঠছে অথচ তা ঠেকানোই মানুষের যোগ্যতার সনদ।

বিবি মাহিতন, মনটা নষ্ট হলে
কী দিয়ে ফেরাবে পতন?

বৈজ্ঞানিক নাম সেপিয়েন্স বা জ্ঞানী হিসেবে খ্যাতি কিংবা পরিচিতি সৃষ্টির সেরা হিসেবে - তা তো একমাত্র বোধগত শর্তে। অথচ বোধ লুপ্তির আন্দোলন চলছে যেন আজ বা জোয়ার এসেছে নষ্টামির। বেদ, কোরান, বাইবেল যেন পিরিয়ডিক পঠিতব্য- দিন শেষে বা প্রভাতে। আর বাদ বাকি নষ্টামির কাল। কিংবা ইতিহাস যেন ছেলে ভুলানোর গল্প কোন। ঐতিহাসিক চরিত্রগুলোকে অসাধারণ তকমা দিয়ে আসমানে তোলার হিড়িক পড়ে গেছে, সাথে সাথে নিজেদের সাধারণ ঘোষণা দিয়ে মেতে উঠছে ভোগানন্দে।
 
ক্লিক করুন

বোধ শেকড় হারিয়েছে, ভেসে যাচ্ছে পানার মতোন
যৌবন যেন যৌনতার ডাকনাম, ন্যাংটো আগুন।

প্রচলিত পাপকর্মীদের দেখে ঘেন্না ধরেছে সেই কবে, আজ তীর্থ যাত্রীগনও নাম লিখিয়াছে সে লিস্টে। অসাড় বার্ধক্যই যেন ধর্ম কাল। কোটরাগত সে ভাঙা চোখেই যেন বোধের প্রদীপ জ্বালতে হবে। অথচ তখন এক পা নরকে। বার্ধক্যের সে জীর্ণ বোধ প্রদীপ সারাতে পারবে কী নরকের অন্ধকার? যৌবন হারাচ্ছে নষ্টামির আগুনে পুড়ে আর বার্ধক্যে এসে উপদেশ বাণী? কে শুনতে চায় সে সমস্ত পিতার বাণী? মানছে ক'জন?

হাঁসের মতোন গিলছে ইতিহাস
তারা গুম করে নিলো
শত বিপ্লবী, পূর্ব পুরুষের লাশ।

পৃথিবীর ক্রম মুক্তির পথ কী? কোন পথে মানুষের মুক্তি হবে? অচল সময়ের প্রাচীর ভেঙে বারবার উঁকি দিয়েছে ভোর। ভোরের সে পাটাতনে উদ্ভিদের মতোন মাথা তুলেছে কমরেড। প্রাচীর ভাঙার সে বৈপ্লবিক কুঠার ঐতিহাসিক পরশুরাম। কিন্তু পরশুরাম যেন আজ পৌরাণিক গল্প শুধু। ইতিহাস যেন গল্পের, সঙের কিতাব আর ঐতিহাসিক চরিত্র গুলো পৌরাণিক যুগের অলৌকিক নায়ক। কাট, কপি, পেস্ট করে, ইচ্ছেমতো এডিট করে খুন, জখম ও গুম করা হচ্ছে তাঁদের। প্রদীপ জ্বালবার প্রেরণা কোথায় পাই?

মুক্তির মন্ত্র পাঠে জেগে উঠুক দ্রোম শহর।

পিঠ যখন দেয়ালে ঠেকছে, কোথায় পালাবেন আর? সরু গলিতে দৌঁড়ে এসে, যখন সম্মুখে সমুদ্র কিনার, আর কোনদিকে দৌঁড়াবেন? কোথায় গিয়ে ভিড়াবেন আপনার তরী- বাংলাদেশ হতে কানাডা, চিলি হতে চায়না- কোথায়? সম-অন্ধকারে, রুগ্নতায় ও অস্থিরতায় কম্পমান পৃথিবী। ছত্রাকের মতোন বৃত্তিক পথে ক্ষত ছড়িয়ে পড়েছে বুকে। ঠোঁট চুম্বনের এক টুকরো মানচিত্র নেই। কোথায় ফিরবেন? ফেরার সকল পথ বন্ধ হয়েছে সেই কবে। এখন তো মন্ত্র পাঠের কাল। উদ্ভিদের মতোন উঁকি দেবার ক্ষণ। বয়ে যাচ্ছে জেগে উঠার সূর্য সন। কমরেড, জেগে আছো?
লেখা পাঠাতে যোগাযোগ করুনঃ

No comments:

Post a Comment