Saturday, July 18, 2020

করোনা মহামারী থেকে শিক্ষা - মেসেঞ্জার অব কসমোলজি সম্পাদিত।

মতামত


ছবি : মেসেঞ্জার অব কসমোলজি



সংকট এলেই উন্মোচিত হয় চারিত্রিক বাইবেল। বৌদ্ধিক চোখের ভাঁজ যদি না খোলে তবে তো সংকট ঘনীভূত হতে থাকে। মতাদর্শিক আশ্রয় হিসেবে কম্যুনিজম এখন ছিন্ন ভিন্ন ভেলা। বিশেষত সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙন পরবর্তী সময়ে আর কোন প্রদীপ যেন বিশ্ববাসী দেখলোই না। আর বৈশ্বিক কাঠামোগত অসাড়তার কথা জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনান থেকে শুরু করে সমকালীন সব চিন্তাবিদ, দার্শনিকের মধ্য দিয়েই উঠে এসেছে। বৈশ্বিক নেতৃত্ব সংকটের কথাও রিপিট হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে শংকা হয়ে জেগে থাকা জলবায়ুর ত্রাস, খুব সম্ভব সে পথ ধরেই করোনা সংকট গোটা বিশ্বের জন্য তীব্রতা ও ব্যাপ্তিতে আরও নতুন। প্রকৃতির সাথে সম্পর্ক আলগা করে, মুনাফা কেন্দ্রীক অর্থনীতির লাগামহীন বেলেল্লাপনা প্রতিযোগিতায় মেতে সংকট ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে, অন্ধকার তরল হচ্ছে।

গলিত অন্ধকারের বুক চিড়ে, ইস্পাত-দৃঢ় সংকটের বেষ্টনী ভেঙে ভোর উঠাবার দায় মানুষেরই। "মেসেঞ্জার অব কসমোলজি" এবার মুখোমুখি হলো কয়েকজন চিন্তাবিদ, কবি, সাহিত্যিক, কমরেডের সাথে। এ শুধু বিশ্লেষণ নয়, আকাঙ্খা আর আকুতি নয়, নয় ভাড়াটে কলম নিঃসৃত কথা, এটা কথা, স্বপ্ন, এবং স্বপ্ন বাস্তবায়নের তীব্র প্রচেষ্টা। শুধু মুখ নয়, বুক দিয়েও আমরা আশা রাখি, চেষ্টা করি মানবিক মানচিত্র প্রতিষ্ঠার।

নিয়মিত আমাদের সাথে থাকুন। পড়ুন। আপনিও লিখুন। এ পর্বে "করোনা মহামারী থেকে শিক্ষা" শীর্ষক মতামত সমূহ পড়ুন। ধন্যবাদ। 

সম্পাদকীয়।

বিজ্ঞানেই অবলম্বন, ল্যাবরেটরিতেই আস্থা - এম ইকবাল।

কলামিস্ট ও রাজনীতিবিদ



    এই সময়ে পৃথিবীতে হতে পারতো তৃতীয় কোনো বিশ্বযুদ্ধ, যেটা অনেকদিন ধরেই অনেক বুদ্ধিজীবীদের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল, যদিও বিশ্বজুড়ে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। এছাড়াও ইরান-যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়া, ভারত-(কাস্মীর)পাকিস্থান, হিন্দু- মুসলিম, (ভারত- NRC, CAA), রোহিঙ্গা নিধন(মিয়ানমার), নির্বাচন ও নেতৃত্বের পালাবদল এবং আরও অসংখ্য রাজনৈতিক ইস্যুকে ঘিরে সারা পৃথিবীজুড়ে ইলেকট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, সাধারন মানুষ থেকে রাষ্ট্রীয় কর্নধার পর্যন্ত সবার মাঝেই এক ভয়াবহ অস্থিরতা কাজ করছে। সেক্ষেত্রে বিশ্বযুদ্ধ হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতো নিঃসন্দেহে। যুদ্ধের ফলাফল যাই হোক না কেন অনিবার্য ফল হিসেবে পরবর্তী প্রজন্ম পরম্পরাগতভাবে প্রাপ্ত শত্রুতা লালন করে বেড়ে উঠত। ফলে পরবর্তী আরেকটা যুদ্ধের সম্ভাবনা থেকেই যেত।

    এক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস সেই সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করে দিয়েছে। মানুষে মানুষে শত্রুতার বদলে পৃথিবীর মানুষের সামনে নতুন চ্যালেন্জ ছুড়ে দিয়েছে। এতে মানুষ তার অসহায়তা এবং ক্ষমতার সীমাটাকে কিছুটা হলেও উপলব্ধি করতে পারছে। সেই সাথে যতো সময় যাবে এই উপলব্ধিটা ততোই স্পষ্ট হবে।

এটা আমার কথা নয়।
বিগত পৃথিবীর ইতিহাস এটাই বলে।

যতক্ষণ মানুষের সামনে মানুষ ব্যতীত অন্য কোন বিপদজনক শত্রু অনুপস্থিত ছিলো ততক্ষণ মানুষের মাঝেই বিভেদ ছিলো, মানুষই মানুষের শত্রু ছিলো। যখনই মানুষের সামনে তৃতীয় কোন বিপদজনক শত্রু এসে উপস্থিত হয়েছে তখনই মানুষের মাঝে বিভেদের পরিবর্তে ঐক্যতা এসেছে।

তাহলে কি মানুষে মানুষে ঐক্যতার প্রশ্নে তৃতীয় কোন শত্রু অনিবার্য?

সম্ভবত না, অনিবার্য না। ওটা বিগত পৃথিবীর ইতিহাস। এখানেই পৃথিবীতে বড় একটা পার্থক্য ঘটে যাচ্ছে। আগামী পৃথিবীতে মানুষে মানুষে ঐক্যতার কারন হিসেবে তৃতীয় কোন শত্রুর প্রয়োজন পড়বে না। মানুষের নির্বুদ্ধিতার দিন শেষ হয়ে বোধের উন্মেষ ঘটতে যাচ্ছে। এখানেই মানুষ নতুন যুগের শুরু করতে যাচ্ছে।

এই মহামারী থেকে আমরা আসলে কি কি শিক্ষা পেতে পারি?

১. পৃথিবীজুড়ে বর্তমান রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা বর্তমান চ্যালেন্জ মোকাবেলায় কতটা অসাড় তা দেখিয়ে দিয়েছে এই করোনা মহামারী। সেই সাথে সুষ্ঠু রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা কতটা জরুরী সেটাও এই জরুরী অবস্থা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।

২. স্রষ্টাবিশ্বাস মানুষের আত্ববিশ্বাসকে বৃদ্ধি করে এবং মানুষের মানসিক অস্থিরতা সাময়িক ভাবে দূর করে। জীবন ও যাপনের প্রয়োজনে মানুষ শেষ পর্যন্ত বিজ্ঞানকেই অবলম্বন করে এবং ল্যাবরেটরিতেই আস্থা রাখে।

মানুষ এখনো মুলত প্রকৃতির উপরই নির্ভরশীল - মুরশীদ সেলিন।

রাষ্ট্র ও রাজনীতি বিশ্লেষক


পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। বাইরে থেকে এসে হাত মুখ ভাল করে ধুতে হবে। হাত না ধুয়ে কোনকিছু খাওয়া যাবে না। বাইরের খোলা খাবার খাওয়া উচিত না। স্বাস্থবিধির এসকল প্রাথমিক শিক্ষা আমার শৈশবেই পেয়ে থাকি এবং তা অনেকটা মুখেমুখেই। কিন্তু ব্যস্ত জীবনের নিরন্তর ছুটে চলার ঘোরে অনেক সময়ই তার চর্চা ভুলে যাই। করোনা আমাদের সেই শিক্ষাটা স্মরন করিয়ে দিয়েছে।

পুঁজিবাদী চিকিৎসা ব্যবসার ঝলকানিতে যে বিষয়টি আমরা প্রায় ভুলতে বসেছিলাম তা হচ্ছে বেশীরভাগ জীবানুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এখনো মানুষের একমাত্র সম্বল আমাদের শরীরের প্রাকৃতিক রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা। বিশেষ করে ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ঔষধ চিকিৎসাবিজ্ঞান এখনো আবিষ্কার করতে পারেনি। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থকর ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহন, অস্বাস্থ্যকর খাবার ও অভ্যাস পরিহার করা ইত্যাকার বিষয়গুলো আমাদের প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা যা সকলেই পেয়েছে। করোনা এসে বুঝিয়ে দিলো যে বিজ্ঞানের অগ্রগতি সত্বেও বেঁচে থাকার জন্য মানুষ এখনো মুলত প্রকৃতির উপরই নির্ভরশীল।

হাজার হাজার বছরের অভিজ্ঞতা লব্ধ মানব সভ্যতার স্বতসিদ্ধ যে সাধারন জ্ঞান, আধুনিকতার নামে আমরা তা যেন ভুলে না যাই। করোনা মহামারী থেকে এটি হতে পারে একটি যথার্থ শিক্ষা।

বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে - একেএম খাদেমুল বাশার


লেখক ও পর্যটক


‘জীবন নামের রেলগাড়িটা পায়না খুঁজে স্টিশন।‘ এই লাইনটা আজ ভীষণ মনে পড়ছে। মনে পড়বেই না কেন বলুন, করোনাকালীন এই সময়ে এই লাইনটাই যে বাস্তব সত্য। এই সময়ে মানুষ বুঝেছে, যে ইট-পাথরের শহরকে তারা আপন করতে চেয়েছিল তা শুধুই মিছে অভিনয়ই ছিল। শহরের দাম্ভিকতা, একে অপরের থেকে একধাপ এগিয়ে থাকার মিথ্যে প্রতিযোগিতা, মানুষের রোবট হয়ে থাকা, প্রকৃতির সাথে অমানবিক অত্যাচার সহ আরো কতো কি না মানুষ করেছে। একটা বারও মানুষ নিজেকে নিয়ে ভাবেনি।

করোনা বুঝিয়ে দিয়েছে এই শহরের মানুষের সবকিছু ভুল ছিল। এখন প্রকৃতি তার আপন মনে সেজেছে আর মানুষ নিজেকে নিয়েই শঙ্কায়। নিজের জীবন বাঁচানো নিয়ে কতো ব্যস্ত মানবজাতি। বিত্তবানরা ঘরের কোণে থেকে দিন পার করলেও নিম্নবিত্ত আর মধ্যবিত্তদের টিকে থাকার আর্তনাদ চোখের কোণে অবলীলায় জল এনে দিতে বাধ্য।

হায়রে মানুষ, রঙ্গিন ফানুস। যাদের দম ফুরালেই ঠুস তারা কেনো এতো স্বার্থপর নিজেদের টিকে থাকার জন্য। কেন এতো নিষ্ঠুর নিজেকে আরেকজনের থেকে উঁচুতে নিয়ে যেতে। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কি একটা মানুষ চলতে পারেনা?

করোনা এসব কিছুর সমাধান এনে দিয়েছে। পারিবারিক কলহ দূর করে একত্র হয়ে যৌথভাবে কিভাবে থাকা যায় তা শিখিয়েছে। শহুরে কালচার যে সেরা কালচার নয়, শহুরে জীবনই যে সেরা জীবন নয় তা শিখিয়েছে। মা-মাটি ও প্রকৃতির সাথে মিশে থাকার যে আকুলতা, ব্যাকুলতা তা বুঝতে শিখিয়েছে। মানুষ মানুষের জন্য এটা বুঝতে শিখিয়েছে। ধনী-গরীব এক হলে দেশে যে অন্য এক আবহ তৈরি হয় সেটা বুঝিয়েছে করোনা।

এই করোনা থেকে যে আসল শিক্ষাটা পেয়েছি তা হলো বন্যরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃকোড়ে। এদেরকে এদের মতো করে বেড়ে উঠতে দিন দেখবেন পৃথিবী বদলে যাবে। আপনি আমি সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য এদের বিপর্যয় না করলেই  পৃথিবী সুন্দর হয়ে যাবে।


গোলাবারুদ নয় গোলাপ চাই  - মিঞা ভাই


কলামিস্ট ও স্টুডেন্ট লিডার


আমরা আমাদের নিরাপত্তার স্বার্থে অর্থ, সৈন্য বাহিনী,  অস্ত্র ও পারমাণবিক শক্তি মজুদ করে ছিলাম। অনেকে আবার এইসবে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও ছিলো৷ অথচ ছোট্ট একটি ভাইরাসের কাছে এইসব মূল্যহীন হয়ে পড়েছে। এত এত নিরাপত্তার বেষ্টনী, কাঁটাতার, সীমান্তরক্ষী বাহিনী থাকতেও আজকে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় গৃহবন্দী।

"নিজে ভালো থাকলেই জগৎ ভালো " আমরা যারা এই কালেমা জপে ছিলাম এদ্দিন আমরা সত্যিই ভালো আছিতো? খুব জানতে ইচ্ছে করে।
আমাদের এমন করে ভালো থাকাটাই এখন এবং পরবর্তীতে অনেক বেশি খারাপ থাকার কারণ৷

 আমরা আমাদের জীবনে সুখের জন্য যাপনে অনেকটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করি কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে একটা বিষয় স্পষ্ট যে শৃঙ্খল জীবন যাপনেই আমাদের জীবনে সুখ আসতে পারে৷

পৃথিবীটা ধ্বংস করতে এতদিন প্রয়োজন হতো না যতদিন থেকে আমরা পৃথিবীকে সুস্থ করার জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করে যাচ্ছি। তাই এখন সময়ের দাবী গোলাবারুদ নয় গোলাপ চাই।

পুরনো ব্যবস্থাপনাকে ভেঙ্গে নতুন করে সাজাতে হবে - মোঃ শামীম মিয়া।

কলামিস্ট ও স্টুডেন্ট লিডার


করোনা বৈশ্বিকভাবে সব কিছুই থামিয়ে দিলেও সময় তার আপন গতিতেই জীবনকে সামনে নিয়ে যাচ্ছে। যোগাযোগ সহ গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করতে হচ্ছে প্রযুক্তির উপর ভর দিয়েই আর প্রযুক্তিই বিশ্বগ্রাম কে একসথে বেঁধে রেখেছে। করোনা মহামারিতে একটা বিষয় স্পষ্টভাবে বুঝা গেছে শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রবাসীদের আয় সব কিছুই সাময়িক সময়ের জন্য সমাধান মনে হলেও কৃষি অর্থনীতিটা আমাদের চোখে জীবননীতি হিসেবেই ধরা দিয়েছে। এটাই হল আমাদের একমাত্র শ্রেষ্ঠ উত্তরণের পথ।
হতাশার ব্যপক বিস্তৃত ক্ষেত্র যেমন দেখেছি সব কিছু উপেক্ষা করে সম্ভবনার প্রচুর উর্বরতাও দেখেছি।  দানবীয় আচরণ করোনা মহামারি কে আরও ভয়াবহ রূপ দান করেছে।
কেউ সুযোগের অপব্যবহার করে এই সময়টাকে আরও দূর্বিষহ করে তুলছে। মানবীয় অবক্ষয়ের চিত্র আগে থেকে দেখে আসলেও সবার চোখে স্পষ্ট হয়ে ধরা দিচ্ছে এই সময়ে।
পৃথিবীর জন্য এই পুরনো ব্যবস্থাপনার অচলায়তন পথটা কত কঠিন আর শক্ত সেটা উপলব্ধি করতে এখন আর বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না।
সবাই যখন বিছিন্ন করার জন্য ব্যস্ত তখন সঠিকতার জন্য সচেতন তরুণরাই এগিয়ে এসে উচ্চারণ করছে সামাজিক নয় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন। কিছু মানুষ যখন লকডাউন এর জন্যে খুশি মনে বিশ্রাম নিচ্ছেন তখন কিছু মানুষ সামাজিক দায়িত্ব পাগলে দৃঢ়ভাবে অজানা পথ এগিয়ে চলছেন।  পুরনো ব্যবস্থাপনাকে নতুন করে ভেঙ্গে সাজাতে প্রয়োজন নতুন প্রজন্মের নতুন স্বপ্ন যা দিয়েই নিয়ন্ত্রিত হবে আগামীর নতুন পৃথিবী।


বাঁচতে হলে সবাইকে নিয়ে একসাথে বাঁচতে হবে- আব্দুল আলীম।

কলামিস্ট ও রাজনীতিবিদ


মানবসভ্যতার সেই আদিকাল থেকেই মানুষ নানা ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতির স্বীকার হয়েছেন এবং সেখান থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখার প্রশ্নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

তেমনি করোনা ভাইরাসের মতোন মরনব্যাধী শিখিয়ে দিলো মানুষের বাসযোগ্য নামক গ্রহটিতে বাস করার জন্য কী কী সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

নতুন কোন সমস্যার স্বীকার হলে বাস্তব নিষ্ঠ, বিজ্ঞান সম্মত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমরা কতটুকু প্রস্তুত আছি সে ব্যাপারে আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দিলো।

সংকটকালীন এ সময়ে সরকারের সমাধানিক সিদ্ধান্ত তো এমন হওয়া প্রয়োজন ছিলো যে, মেজরিটি মানুষ সুস্থও থাকবে, পাশাপাশি রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক চাকাও সচল থাকবে।

যন্ত্রের অভিঘাতে সমাজে পরিবর্তন আসে। আর সেই প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্ব এখন গাঁয়ের চেয়েও ছোট। কিন্তু প্রযুক্তির সুফল এখনো সকল মানুষ ভোগ করতে পারেনি। রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানকেও প্রযুক্তির আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। এটা সম্ভব হলে করোনা প্রতিরোধে আমরা আরও সফল হতাম।

সমস্যা যেহেতু বৈশ্বিক, সেহেতু সমাধানও বৈশ্বিক ভাবে করতে হবে। কিন্তু বৈশ্বিক কোন কাঠামো না থাকার সীমাবদ্ধতা এখনো বর্তমান। পুরনো খোলস থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বাঁচার জন্য একটিই পৃথিবী, বাঁচতে হলে সবাইকে নিয়ে একসাথে বাঁচতে হবে।
লেখা পাঠাতে যোগাযোগ করার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
১৮.০৭.২০২০

No comments:

Post a Comment