Friday, July 17, 2020

বেকারত্ব ও পরিবর্তনীয় ভবিষ্যতের হাতছানি - মিরান।


মিরান
শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

কভিড-১৯ একটি বৈশ্বিক মহামারি। এর কারণে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, স্বল্প বা দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। চলমান মহামারির স্থায়ীত্বের উপর নির্ভর করবে বাংলাদেশে ক্ষতির পরিমান কেমন হবে। তবে এটুকু নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, উক্ত ক্ষতি আমাদের সমাজে মৌলিক ও নানামুখী পরিবর্তন নিয়ে আসবে। বিগত সময়ে আমরা যেভাবে জীবন-যাপনে অভ্যস্ত ছিলাম, কভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে তা পরিবর্তিত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনস্বীকার্য।

কভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্বে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিবে বেকারত্ব। আমেরিকায় প্রায় ৪৩ মিলিয়ন বা ৪ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ তাদের চাকরি হারিয়েছে। পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশেও প্রায় দেড় কোটি মানুষ তাদের চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে, যাদের অনেকেই ইতিমধ্যে বেকার হয়ে পড়েছে। সরকারের নানামুখী প্রণোদনা পাওয়া সত্বেও বিজিএমইএ মোটামুটি বৃহৎ সংখ্যক শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে। এবং ইতিমধ্যে শুরুও হয়ে গেছে। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে ব্যাপক বেকারত্ব সৃষ্টি হবে। ক্ষুদ্র ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানগুলোতে পূঁজি হ্রাস হবে আরও তীব্র, তাদের অনেকেই পূঁজি হারিয়ে এখন পথে বসে গেছে। তাদেরকে কোনো সরকারি প্রণোদনাতেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

সম্প্রতি আমেরিকায় 'জর্জ ফ্লয়েড' হত্যার বিচারের দাবীতে বর্ণবাদ বিরোধী চলমান বিক্ষোভের সময়ে অনেক 'শো-রুম' লুটপাটের ঘটনা ছিল চোখে পড়ার মত। এ লুটেরাদের প্রায় সবাই সম্প্রতি চাকরি হারিয়েছেন, এদের অধিকাংশই কৃষ্ণাঙ্গ এবং এ লুটপাট ছিল মূলত একটি প্রতিবাদ। কৃষ্ণাঙ্গরা এ ঘটনার মাধ্যমে শ্বেতাঙ্গ ধনীদের একটি বার্তা দিয়েছে যে, আমাদের চাকরি না থাকলে তোমাদেরকেও শান্তিতে থাকতে দিবো না। বলে রাখা ভালো, আমেরিকায় সাম্প্রতিক বেকারত্বের অন্যতম প্রধান স্বীকার কৃষ্ণাঙ্গরাই। হত্যাকান্ডের স্বীকার হওয়া জর্জ ফ্লয়েডও চাকরি হারানোদের একজন।

বাংলাদেশে যদি দেড় কোটি মানুষ নতুন করে বেকার হয়, তাহলে জীবিকা-বঞ্চিত হবে আরও ৩ থেকে ৫ কোটি মানুষ। কারন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী একজনের আয়ের উপর আরও দুই থেকে তিনজনের জীবিকা নির্ভর করে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য মতে পূর্ববর্তী বেকারত্বের সংখ্যা প্রায় ২.৫ কোটি।  তার উপর দেশে প্রতিবছর নতুন করে শিক্ষিত বেকার যুক্ত হচ্ছে প্রায় ২০ লক্ষ । আর প্রবাসীদের একটি বড় সংখ্যা যদি বেকার হয়ে দেশে ফিরে আসে, আর যারা দেশে এসে আটকে আছে তারাও যদি চাকরি হারায়, তাহলে বেকারত্ব বাংলাদেশে নানামুখী সমস্যা সৃষ্টি করবে, এ কথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।

সম্প্রতি চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইটালিসহ কয়েকটি দেশে বাংলাদেশি নাগরিকেরা কভিড নেগেটিভের ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে ভ্রমণ করার পর পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার কারণে সারাবিশ্বে বাংলাদেশিদের ভ্রমণ নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি শ্রম-আমদানি নির্ভর বেশ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত করেছে, শর্ত সাপেক্ষে ভ্রমণের নীতি গ্রহন করেছে। ফলে যেসব প্রবাসি শ্রমিক দেশে আটকে আছে, তাদের কাজে ফিরে যাওয়াটাও পিছিয়ে গেছে, তাদের পরিবারগুলোও চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে।

তেলের দাম 'গ্রেট-ফল' হওয়ার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের শ্রমবাজার এমনিতেই হুমকির মুখে, তার উপর কুয়েতে বাংলাদেশের একজন সংসদ সদস্য (পাপুল) 'এশিয়ার মানব পাচারকারী চক্রের প্রধান হোতা' ও ব্যাপক 'অর্থ পাচারকারী' হিসেবে দেশটিতে আটক রয়েছে। এ ঘটনায় দেশটির একজন জেনারেল, কয়েকজন মন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজনকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আমদানিতে কিছু কঠোর নীতিমালা যুক্ত করার ঘোষণাও দিয়েছে দেশটি। এ ঘটনায় আরব বিশে্ব তোলপাড় শুরু হয়েছে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের শ্রম রপ্তানির ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে গিয়েছে।

বিগত বছরগুলোতে ব্যাপকভাবে অর্থ পাচারের ঘটনা ঘটেছে। লকডাউনের সময়ে বিমানবন্দরগুলোতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও ঋণখেলাপী, ব্যাংক লুটেরা ও অর্থ পাচারকারীদের বিদেশ গমন আমাদেরকে চরমভাবে হতাশ করেছে। ব্যাংকগুলোতে চলছে তারল্য সংকট। চলমান পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার নতুন করে টাকা ছাপানোর কথাও ভাবছে, ফলে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও অমূলক নয়। গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে ৬০ শতাংশ (প্রকৃতপক্ষে ১০০ শতাংশ)। গত কয়েকবছর ধরে গ্যাস, বিদ্যুৎ, ঘরভাড়াসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও সেবার অনবরত দাম বেড়েছে। ফলে স্থায়ী এবং সাময়িকভাবে বেকার হয়ে যাওয়া পরিবারগুলো কীভাবে চলবে, তার কোনো সমাধান নেই।

এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা তাদের জীবন-মান পরিবর্তন করতে বাধ্য হবে। মধ্যবিত্তরা চলে যাবে নিন্ম-মধ্যবিত্তের কাতারে, নিন্ম-মধ্যবিত্ত হয়ে যাবে নিন্মবিত্ত, নিন্মবিত্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং নিন্মবিত্তদের অনেকেই প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাতারে নতুন করে যুক্ত হবে। ব্র্যাকের হিসাব মতে, দেশে বর্তমানে দারিদ্র্যের সংখ্যা প্রায় '৬ কোটি'। এ পরিস্থিতিতে সামাজিক সমস্যাগুলোও ব্যপকভাবে বেড়ে যাবে বলে ধারণা করছেন সমাজবিজ্ঞানীরা। নিন্মবিত্তের যে মানুষেরা কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা করাত, আয়-রোজগার কমে যাওয়াতে এবং জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যাওয়াতে তারা ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা থেকে সরিয়ে আনবে, পরিবারের আর্থিক খরচ বহন করতে তাদেরকে নিন্ম মানের শ্রমবাজারে ঠেলে দিবে, বেড়ে যাবে শিশুশ্রম। ফলে দক্ষতা হারাবে আমাদের ভবিষ্যৎ কর্মশক্তির বড় একটি অংশ। ফলে, একটি দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হয়ে যাবে।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর যে তরুণেরা এতদিন শ্রম-বাজারের একটি বড় অংশ ছিল, তারা চাকরি হারিয়ে অর্থের প্রয়োজনে চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও খুনের মত অপরাধে জড়িয়ে পড়বে, হতাশায় মাদক গ্রহণ ও পর্যায়ক্রমে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত হবে। বেড়ে যাবে ধর্ষণের মত অপরাধও। সংখ্যা বেড়ে যাওয়াতে সমাজে তাদের প্রভাবও বাড়তে থাকবে, আর এক্ষেত্রে বড় অবদান রাখবে আমাদের সমাজে প্রচলিত তথাকথিত 'বড়ভাই সংস্কৃতি'। উক্ত 'বড়ভাই'দের হাত ধরে তারা ঢুকে যাবে অপরাধ জগতের গভীর সমুদ্রে। প্রভাব বিস্তার করতে থাকবে সমাজে। সাধারণ মানুষদের চলাফেরায় নানামুখী সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে অশিক্ষিত সর্বহারা এ তরুণগুলো। কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন হবে শহুরে জীবন। সমস্যা হয়ে উঠবে দীর্ঘ-মেয়াদি।

এদিকে শিক্ষিত-সচেতন মানুষদের মধ্যে বাড়তে থাকবে জন-ক্ষোভ। তারাও বেকারত্বের স্বীকার হচ্ছে, হবে। আয়-উপার্জন কমে গিয়ে, জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে গিয়ে, তাদের জীবন-মান হবে নিন্মমুখী, সামাজিক ও পারিবারিক জীবন হয়ে উঠবে দুরবিসহ। চাকরি হারিয়ে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বড় শহরগুলো থেকে বাসা ছেড়ে দিয়ে গ্রামে ফিরে যাচ্ছে। সাময়িকভাবে আর্থিক অসচ্ছলতা ও ঋণগ্রস্ত হয়ে যাওয়ার কারণে আত্মহত্যার প্রবণতাও বেড়ে যেতে পারে। তারা (শিক্ষিত মধ্যবিত্ত) যেহেতু বিগত সময়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর গৃহীত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জ্ঞাত ও সচেতন, ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সরকারকে দায়ী করবে। সাথে যোগ হবে সদ্য ঘটে যাওয়া কভিড-১৯ মহামারিতে স্বজন হারানোর ক্ষোভ, যদিও চলমান এ মৃত্যুর মিছিল বা সংখ্যা কোথায় গিয়ে থামবে, তা এখনও অনিশ্চিত। সে 'মৃত্যুর স্বীকৃতি' সরকারি হিসাবে পাক বা না-পাক।

আমরা যদি ২০১০ পরবর্তী সময়ে 'আরব বসন্তে'র দিকে তাকাই, তাহলে দেখতে পাবো যে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বেকারত্ব বেড়ে গিয়েছিল ব্যপক হারে। বেকারত্বই ছিল আরব বসন্তের অন্যতম কারণ। তার সাথে যোগ হয়েছিল পূঁজি লুন্ঠন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অব্যস্থাপনা, অদক্ষতা, দূর্নীতি, রাষ্ট্রীয় কোষাগার লুটপাট ও অপশাসন। দীর্ঘমেয়াদি পুঞ্জিভূত জনক্ষোভ 'ঘি' ঢেলেছিল উক্ত বিদ্রোহের আগুনে। ফলাফল কী হলো? দীর্ঘমেয়াদি গৃহযুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষ। আর দেশের অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা হয়ে উঠল দীর্ঘস্থায়ী। বিশ্ব রাজনীতির পরাশক্তি দেশগুলো নিজেদের ঘরে তুলল সেই 'আরব বসন্তে'র ফসল।

কভিড-১৯ মহামারির কারণে সামনের দিনগুলোতে আরেকটি 'আরব বসন্ত' হাতছানি দিচ্ছে। তবে এবার আরবে নয়, বসন্ত আসবে দক্ষিণ আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া, ইউরোপ এবং খোদ উত্তর আমেরিকাতেই। বিশেষ করে যেসব দেশগুলোতে কভিড-১৯ ব্যাপকভাবে ক্ষয়ক্ষতি করেছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মহামন্দার এ সময়ে অন্যান্য দেশ ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সহযোগিতার পরিধিও কমে আসতে পারে। ব্যাপক পরিবর্তন আসতে পারে বর্তমান বিশ্ব-ব্যবস্থায়ও। সম্প্রতি ব্রাজিল, মেক্সিকো, ইরাক, জর্ডানসহ বেশ কয়েকটি দেশে সরকার বিরোধী আন্দোলন লক্ষণীয় যার মূলে রয়েছে বেকারত্ব।

বিশ্বের নামকরা 'নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা' ধারণা করছেন যে, কভিড পরবর্তী বিশ্বে আসন্ন নানামুখী সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে না-পেরে বেশ কয়েকটি সরকারের পতন হতে পারে, বিশেষ করে স্বৈরাচারী সরকারগুলো। যে সরকারগুলো প্রথম থেকেই পরিস্থিতির প্রকৃত অবস্থা বুঝতে পেরে উদ্ভুত পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করেছে, সঠিক তথ্য না-লুকিয়ে জনগণের সাথে একাত্ম হয়ে কাজ করেছে, জনগণের মেন্ডেট নিয়ে কাজ করেছে, সে সরকারগুলো সফলতার আলো দেখেছে। আর যে সরকারগুলো স্বৈরাচারী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাজে গেমিংয়ে মেতে ছিল, সব সময়ের মত লুটপাটতন্ত্রের ছিলছিলা জারি রেখেছিল, তথ্য লুকিয়েছে, দেশের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা না-করে ধনিক শ্রেণিকে অনৈতিক সুবিধা দিয়েছে, জনগণের সমস্যাকে গুরুত্ব দেয়নি, সে সরকারগুলো দীর্ঘমেয়াদী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে ও হবে। মানুষের আয়-রোজগার না-থাকলে, পেটে ভাত না-পড়লে ঘরে বসে থাকবে না। রাস্তায় নামবে, বিদ্রোহ করবে। স্বৈরাচারী সরকারগুলো পরিস্থিতির গভীরতাকে উপেক্ষা করে উক্ত বিদ্রোহকে কঠোর হাতে দমন করতে চাইবে। রাষ্ট্রীয় পেটোয়া বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে একচেটিয়াভাবে প্রশমিত করতে চাইবে সে গণ-উত্তেজনাকে। দেয়ালে পীঠ ঠেকে যাওয়াতে মানুষও এর চুড়ান্ত সমাধান চাইবে। ফলে, ঘটে যাবে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।
বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। বরং বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আরও নানামুখী মাত্রা যোগ হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সিদ্ধান্তের প্রতি মানুষের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ, অগণতন্ত্র, রাষ্ট্রীয় কোষাগার লুটপাট, কৃষক-শোষণ, সীমান্ত হত্যা, অর্থপাচার, বিনা চিকিৎসায় স্বজন হারানোর ক্ষোভ ইত্যাদি ঘি ঢালবে উক্ত বিদ্রোহের আগুনে। তাই ধারণা করা যায়, বেকারত্ব আমাদেরকে হাতছানি দিচ্ছে একটি মৌলিক পরিবর্তনের, যা আমাদেরকে অকল্পনীয় একটি পরিস্থিতির সম্মুখীন করতে পারে।

[১৭.০৬.২০২০]

2 comments:

  1. বাস্তবসম্মত লেখা। ভবিষ্যতের কথাতো নিশ্চিত করে বলা যায়না, যদিও এমন কিছু হওয়া স্বাভাবিক তারপরও আশা করছি সমস্যাগুলো কোনো না কোনোভাবে আমরা পেছনে ফেলতে পারবো। শুভকামনা রইলো।

    ReplyDelete
  2. ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।

    ReplyDelete