Tuesday, July 14, 2020

কেমন বাংলাদেশ চাই || মতামত সম্পাদনায় ভূবন মুন্সী।




মন্তব্যকারীদের মতামতের ভিত্তিতে উঠে আসে-

"সমান অধিকার, বাক স্বাধীনতা, মুক্ত ধারার সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক চর্চা, বেকারত্ব দূর করা, পরমত সহিষ্ণুতা ও দেশজ চেতনায় সংহত হোক রাজনীতি, অবাধ নির্বাচন, সুষ্ঠ রাজনৈতিক পরিবেশ, বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ, প্রকৃত স্বাধীনতা, রাজনৈতিক সংকট দূরীকরণ, জনসংখা বৃদ্ধির হার কমানো, নিরেপেক্ষ নির্বাচন, সঠিক রাজনীতি ও ঐক্য বদ্ধ জাতি।"

প্রশ্ন ছিলো-

স্বাধীন বাংলাদেশ নিয়ে আজ আমাদের সবার


প্রধান চাওয়া কী?

দীর্ঘ পরম্পরার সূত্র ধরে দেশকে আমরা মা, মাতৃভূমি হিসেবেই জানি। তাই দেশ প্রাসঙ্গিক ভাবনা অতীত থেকেই আমাদের মধ্যে তীব্র ভাবে সংহত হয়ে ডালিমের মতো দানা বেধে থাকে সতেজ হয়ে। তবে কখনো কখনো তাতে দেখা গেছে শীত ঋতুর হলদে পাতা। সেই শীত পক্ষ পেরিয়ে আমরা বারেবারেই জানান দিয়েছি আমাদের স্বদম্ভ অস্তিত্ব। যথা সময়ে আপন স্বকীয়তায় হয়েছি যথার্থ। যে কারণে ইতিহাসে এ ভূখন্ড বোগলকপুর বা বিদ্রোহপুর হিসেবে পরিচিতি পায়। বৃটিশরা তাদের রাজধানী কলকাতা হতে দিল্লিতে ট্রান্সফার করে একই কারনে।

৭১ পরবর্তী স্বাধীন দেশে যথাযোগ্য উত্তরসুরীদের হারিয়ে এবং ১৪ই ডিসেম্বরের পরিনতি অর্থে বৌদ্ধিক শূন্যতার পথ ধরে আমরা অনেকটা পথ জানা নাই অবস্থায় আন্দাজে-গোলেমালে কোনরকমে মানচিত্র নিয়ে পথ হেঁটে এতটা দূর এসেছি। বর্তমানে নাকাল অবস্থা চারপাশ থেকে ঝেঁকে বসেছে, এমনকি ঋদ্ধ চেতনার সুঠাম দেহ ধারালো খঞ্জরে কেটেকুটে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে। তাই দেশ প্রসঙ্গ আমাদের কাছে আজ অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে। তারপরও দেশের ভালো মন্দের সাথেই তো আমাদের ভালো-মন্দ থাকার সম্পর্ক। তাই দেরিতে হলেও সে ভাবনা আজ আবার মাথা উচু করে দ্রোহের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ঐতিহাসিক নীহারঞ্জন স্যার একেই বাংলার বেতসীবৃত্তির বৈশিষ্ট হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

মানচিত্রের সাথে যেমন মানুষের ভালো-মন্দ থাকার সম্পর্ক, তেমনি মানচিত্র জেগে থাকে রাজনীতি মারফত। তাই অধিকাংশ মন্তব্যকারীর মতামত রাজনীতি প্রাসঙ্গিক হয়েই উঠে এসেছে। অর্থাৎ বোধের যথার্থ বাটনে চাপ পরেছে, তাই বাক শক্তিতে যথার্থ উচ্চারন এসেছে। আবার দীর্ঘ মেয়াদে দেশকে এগিয়ে নিতে গেলে বর্তমান প্রয়োজনকে সামনে রেখে নয়া আদর্শ অনুযায়ী সাংস্কৃতিক সংগ্রাম অনিবার্য। যার উপস্থিতিতে জনগন ব্যাকরনগত রাজনৈতিক চর্চাতে অভ্যস্থ হবে এবং সাংস্কৃতিক সংগ্রামের পথ ধরেই দেশজ চেতনার জন্ম হবে অর্থাৎ যথার্থই বাংলা হয়ে উঠবে বাংলার।

তবে গনতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভোট মারফত পছন্দের সরকার নির্বাচনের প্রসঙ্গটাও অধিক গুরুত্ব দিয়ে উঠে এসেছে। কারন অস্বচ্ছ ভোট রাজনীতির পথ ধরেই দেশটা অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে এবং পক্ষ-বিপক্ষের দাঙ্গা-হাঙ্গামায় জনগন মানচিত্র সমেত নরকে নিপতিত হয়। এ পথ ধরেই অসৎ আমলা, স্বার্থান্বেষী মহল স্বীয় স্বার্থ হাসিলের প্রশ্নে সরকার হিসেবে মসনদ দখল করে। আপন অযোগ্যতায় দেশকে বিদেশের করতলগত করে আর্থিক ব্যবস্থা সহ আইন-প্রশাসন ব্যবস্থাকে ভারসাম্যহীন করে তুলে। রাষ্ট্রিক যন্ত্রের যথার্থ উন্নয়নতো দূরের কথা, বরং তার কবলে পড়ে ও আপনার অন্ধ মোহে বিষিয়ে দেয় জনযাপন।

পরিশেষে আজ এটা আশা করাই সঙ্গত- আপন মানচিত্রের অক্ষমতা দূর করতে আমরা সকলেই ঐক্যবদ্ধ হবো আপনার প্রয়োজনেই। মানচিত্রের সিঁথি থেকে মুছে দিয়ে কলঙ্কের সিঁদুর আমরা সকলেই হয়ে উঠবো নিষ্কলুষ। উত্তর প্রজন্ম যথাযথ সাংস্কৃতিক সংগ্রামের পথ ধরেই একদিন বাংলাদেশ কে নিয়ে যাবে অনন্য উচ্চতায়।

সেই দিনের প্রতীক্ষায়...Video

[স্যোসাল মিডিয়া ফেসবুক পোস্ট মারফত মতামত/প্রত্যাশার কন্ঠ শোনা হয়েছিল।]
১৩.১০.২০১৮

No comments:

Post a Comment