Sunday, June 7, 2020

'মেসেঞ্জার অব কসমোলজি' প্রাসঙ্গিক আমাদের দ্রোম কথা - সম্পাদকীয়



প্রাচীন মানুষ গুহা হতে ছড়িয়ে পড়ে প্রান্তরে, অন্ধকার থেকে আলোর দিকে, বৃত্তের কেন্দ্র থেকে পরিধির আইল বরাবর ছুটতে থাকে মানুষ, পূর্ণতা পেতে চায়; অনুপম প্রকৃতির অঙ্গ হতে খুলতে থাকে বাহারী বসন, রূপ দেখে, ছুটে চলে ফের।

আদ্য হতে যাত্রা...  আজ অবধি... থামবে কখোন... গন্তব্য কোন সীমানায়...


সব অজানা। শুধু জানি, যতোদিন মানুষ থাকবে, থাকবে মানুষের পৃথিবী, ঠিক ততোদিন মানুষকে ছুটতে হবে সম্মুখে, ছুটতে হবে শুভ্রতার টানে।

ঘূর্ণন নৃত্যে ব্যস্ত  এই পৃথিবীতে মানুষের দ্রোহ মিথ্যার সাথে, প্রকৃতির সাথে প্রেম, প্রেম মানুষে মানুষে ; বৌদ্ধিক মানুষ চায় ন্যায্যতার সুষম বিধান, পারস্পরিক মর্যাদায় পরস্পরের হৃদাসন।


তবু অন্ধকার তাড়া করে ফিরে ছয়ার মতোন, মিথ্যা আপাং কাঁটা হয়ে সেঁটে থাকতে চায় গায়ে, ব্যাকডেটেড হাত খামচে ধরে মানুষের গতিময় গ্রহ; ঠিক তখোনি ভেসে আসে ডাক-ডংকা, বেজে ওঠে সুর-সঙ্গীন, পশ্চাৎপদতা পায়ে ঠেলে পৃথিবীর ঋদ্ধ সন্তানদের বোদ্ধিক জরায়ু হতে জন্ম নেয় দ্রোম।

নবজন্মের এই কালে -

এই অন্ধকার,

এই স্থবিরতা,

প্যারালাইজড সভ্যতা,

ব্যাকডেটেড হাত,

এই অসারতা চূর্ণবিচূর্ণ করার প্রত্যয়ে রুদ্র রূপ ধারন প্রাধান হয়ে উঠে; বিনয়ের চেয়ে স্পর্ধাই আরাধ্য হয়ে উঠে ; স্থবির সভ্যতার গালে কষতে হয় শোধরানোর থাপ্পড়, বোধে শব্দ বাণ, তীক্ষ্ণ খঞ্জরে করতে হয় ব্যাবচ্ছেদ বিশ্লেষণ; হ্যাঁচকা টানে অচলতার মুখোশ আলগা করে দৃশ্যমান করতে হয় ভিতরের দগদগে ক্ষত। প্রত্যাহ ক্রমোত্তোরিত  পথে চেতনার সংগ্রামে যাপনে নিজেকে এগিয়ে নিতে হয়, নিজের ভেতর নিজেকে করতে হয় সংহত। সংহত তারুণ্যের স্পর্ধায়, দ্রোহে, প্রেমে, বিনয় ও সংগ্রামে মিথ্যার কালিমা লুপ্ত হোক, জাহেলিয়াতের বুক চিড়ে বেরিয়ে আসুক স্পষ্ট আলো। সুস্পষ্ট দিশায় বৌদ্ধিক চোখের অন্ধত্ব ঘুচে যাক, দ্রষ্টব্যে প্রশান্ত হোক জৈবিক চোখ, কহতব্য কন্ঠ চিড়ে বেরিয়ে আসুক, প্রচলিত অচল পাড় ভাঙ্গার উল্লাসে তারুণ্য হয়ে উঠুক খরস্রোতা নদী, স্বর্গীয় সাহসে হয়ে উঠুক ব্রহ্মপূত্র, সেমেটিক শুদ্ধতায় উৎসর্গীত আঙ্গুলে লিখুক বিস্ফোরক অক্ষর- পাল্টে দেবার সংবিধান।

জলজ সময়কে দ্রোহের উষ্ণতায় আমরা আকাশে উড়িয়ে দেবো; জন্ম দেবো মেঘ; প্রেমের টানে মেঘ হতে ঝড়াবো তুমুল বৃষ্টি; গড়বো বাস যোগ্য শ্যামল আবাস।

ডান হাতে দ্রোহ, বাম হাতে প্রেম; জৈবিক দুই চোখে পড়ি পৃথিবীর অক্ষর, অষ্ট প্রহর খোলে রাখি 'জেনেটিক চোখ',  পাঁজরের মতোন প্রিয় পেন্সিল ঘষে আমরা আঁকি দ্রোম শহর।


এ যাত্রায় 'মেসেঞ্জার অব কসমোলজি'তে সবাই স্বাগতম।

2 comments: