Monday, June 29, 2020

কোভিড-১৯ : বাংলাদেশের মার্চ টু জুন - ভূবন মুন্সী।





কে অপেক্ষায় ছিলো এমন পৃথিবীর জন্য! উহান হতে ইতালি, কানাডা হতে যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ, ভারত কিংবা আরব হতে আফ্রিকা কেউ কী প্রতীক্ষায় ছিলো এমন পৃথিবীর জন্য? কেউ কী জানতো পতিত পল্লী হতে প্রার্থনালয় সব একযোগে বন্ধ হয়ে যাবে একদিন এবং সেটা খুব দ্রুতই। কেউ আন্দাজ করতেই পারেনি নতুন বছর বরণের পরপরই অ্যারাবিয়ান আগাম সংকেতের সেই দাজ্জাল সম বিকট রূপ গ্রাস করবে পৃথিবী; হাসরের মাঠে ছুটতে থাকা শংকিত মানুষের মতোন গোটা দুনিয়ার মানুষ 'ইয়া নাফসি' জপতে থাকবে ঘর দোয়াড় বন্ধ করে ২০২০ খ্রিস্টাব্দের শুরু থেকেই।

যখন শংকা জাগলো
রাত ১:৩৮। ৩১শে ডিসেম্বর ২০১৯। চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে অপরিচিত নিউমোনিয়া শনাক্তের ঘোষণা আসলো একটি সরকারী ওয়েবসাইট থেকে। তখন কেউ কী ভেবেছিলো খুব দ্রুতই ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিংবা কানাডার ফার্স্ট লেডি এ অপরিচিত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হবে? কেউ কী ভেবে ছিলো এটা পৃথিবীকে তালাবদ্ধ করবে কয়েক দিনের মধ্যেই? সব কিছু খুব দ্রততায় বদলে গেলো।

রেড এলার্ট : প্যানডেমিক-২০২০

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা ভাইরাসের আক্রমণ নিশ্চিত করলেন জানুয়ারিতে। ২১শে জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম করোনা রুগী শনাক্ত হয়। ৩০শে জানুয়ারি WHO করোনাকে Global Health Emergency ঘোষনা করে। চীনের বাইরে ফিলিপাইনে ২রা ফেব্রুয়ারি এক করোনা রুগীর মৃত্যু হয়। ক্রমশ দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ে COVID-19 ভাইরাস। বাংলাদেশে তখন রাত সাড়ে দশটা। ১১ই মার্চ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবার করোনাকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করলো। গ্লোবাল প্যানডেমিক!


সাবান বা স্যানিটাইজার এবং মাস্ক ও গ্লাভস
পুরো পৃথিবী একযোগে একই কাজ শুরু করলো। সবাই ঘর বন্ধী হলো। এ রূপ পৃথিবী দেখিনি আর। সবাই মাস্ক পরিধান শুরু করলো। নিয়মিত সাবান, স্যানিটাইজার দিয়ে, হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে করোনা প্রতিরোধ গড়ে তুললো। ভিন্ন কোন সমাধান না থাকায় প্রধান মন্ত্রী থেকে ওয়ার্ড মেম্বার সবাই নির্দেশনায় নামলো। এটা ভালো ছিলো। কিন্তু যখন এটাতেই গোটা বিশ্ব ঘুরতে লাগলো, এটা ছিলো বৈশ্বিক স্বাস্থ্য খাতের সবচেয়ে দূর্বল দিক।

কোভিড-১৯ : বাংলাদেশ প্রেক্ষিতঃ

বাংলাদেশে প্রথম করোনা ব্যাধি

মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। বাংলাদেশের আইইডিসিআর এর পরিচালককে এখন সবাই চেনে। তাঁর পোশাক পরিচ্ছদ নিয়েও রুগ্ন সামাজিক মিডিয়া কয়েক দিন ব্যস্ত সময় কাটিয়েছে। ৮ই মার্চ ফ্লোরা ম্যাডাম সংবাদ সম্মেলনে নিশ্চিত করলেন তিন জন করোনা রুগীর কথা। ইতালি ফেরত দু জন পুরুষ, তাদের আত্মীয় এক নারী। টোলার বাগ, মিরপুর, ঢাকা প্রথম রেড সার্টিফিকেট পেয়ে গেলো। পরে ক্রমশ করোনা গ্রাস করলো সমগ্র দেশ। ১৮ই মার্চ হতে বাংলাদেশেও শুরু হলো মৃত্যুর করুণ সংবাদ। দীর্ঘ হতে থাকলো মৃত্যুর মিছিল।

লকডাউন হয়ে গেলো সাধারণ ছুটি

দেরি হয়ে গেলো। ঘোষণা আসলো ২২শে মার্চ। ২৬শে মার্চ হতে ৪ই এপ্রিল দশ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষনা করা হলো। বিদেশ ফেরৎ মিশে গেছে সমগ্র দেশে। রাস্তায় রাস্তায় রাজধানী ফেরৎ মানুষের ঢল। শঙ্কা এবং আনন্দ উভয়ই চোখে পড়লো রাস্তায়। শঙ্কাটা যেন অস্পষ্ট। লকডাউনের স্থলে সাধারণ ছুটি শঙ্কা ও সচেতনতা দুটোতেই ভাটা নিয়ে আসলো।

নেতা যখন শুধুমাত্র মোটিভেশানাল স্পিকার

মোটিভেশানটা এখন বাংলাদেশে ট্রেন্ড হয়ে গেছে। অসম্ভবকে সম্ভব করতে সবাই ডায়ালগ দিতে প্রস্তুত। করোনা ভাইরাস প্রসঙ্গে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণদের কথা মোটিভেট এবং হাস্যরস দুটোই দিয়েছে। কখনো কখনো অতি বাড়তি বক্তব্য বা তেলবাজি মূর্খামির পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। সাধারণ একটা অংশ পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ও অবশ্য পালনীয় ডেলিভারিটাও অবজ্ঞায় উড়িয়ে দিয়েছে। ফল ফলেছে আরও মারাত্মক।

ধান কাটা, ফটোসেশান ও আজাইরা কাজী

বিশ্ব ব্যাংকের হিসেব মতে এখনো বাংলাদেশের ৮৭℅ গ্রামীণ মানুষের আয়ের উৎস কৃষি। বৈশ্বিক ভাবেও কৃষিতে বাংলাদেশ অবদান রাখছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের জানুয়ারি ২০২০ খ্রিস্টাব্দের তথ্যমতে বিশ্বে সবজি, ধান ও আলু উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান যথাক্রমে ৩য়, ৪র্থ এবং সপ্তম। কিন্তু কৃষক ও কৃষিতে রাষ্ট্রীয় হাত যেন অনেকটা অচ্ছুৎ কিংবা প্রদর্শনী মূলক। এ বোরো মৌসুমে সকলের ধান কাটার জন্য কৃষকের ক্ষেতে নামা যেন প্রদর্শনী উৎসবে পরিণত হয়। ধান হাতে ফটোসেশানের হিড়িক পড়ে। ফাঁকটা সবাই জানে। অভিনয়টাও বুঝে। প্রযুক্তিকে দূরে রেখে উপর উপর একদিনের আদর। যদিও ক্রিকেট গর্ব, বর্তমান সাংসদ মাশরাফি বিন মর্তুজা ধান কাটার প্রযুক্তি সরবরাহ করে সোশাল মিডিয়ায় নায়ক হয়ে উঠেছিলেন। এই সংবাদের ভাইরাল অপর সাংসদের কৃষক উন্নয়নের খরাকে প্রকাশ করে।  চলতি বাজেটেও ধান ক্রয় বিক্রয়, কৃষি ঋণ, বীজ বিতরণ, উন্নত কৃষি পরিকল্পনা অনাদরে থেকেছে বলে বিশ্লেষকদের মত।

হাসপাতাল, নার্স ও ডাক্তার

করোনা স্বাস্থ্য সংকট। এ সংকটে প্রত্যক্ষ সৈনিক ডাক্তার ও নার্স। ক্যাম্প হলো হাসপাতাল। যুদ্ধে সৈনিকদের অস্ত্র না থাকা যেমন শংকার, তেমনি এ ভাইরাস সংকটে পিপিই'র অপ্রতুলতাও গভীর শংকার। করোনা দেশের স্বাস্থ্য খাতের দূর্বলতা ওপেন করেছে এবং এটা বিশ্বের সকল দেশের স্বাস্থ্য সক্ষমতা ওপেন করেছে। মাস্ক সংকট, ভেন্টিলেটরের অভাব, আইসোলেশন সংকট গভীর ভাবে ভাবিয়ে তুলেছে। সর্বোপরি স্যালুট সকল ডাক্তার ও নার্সদের। গণস্বাস্থ্যের ভূমিকাও প্রশংসনীয়।  বিপরীতে কিট অনুমোদন বা প্রয়োগ পরীক্ষায় ঢিলেমি ভাব স্বাস্থ্য খাত সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্র জনদের অতি নীচু মানসিকতাকে প্রকাশ করে।

মানবতা এবং আসুরিকতা

সংকট এলেই উন্মোচিত হয় চারিত্রিক বাইবেল। করোনা সংকটে সামাজিক ফ্রন্টের সহযোগিতার স্বতঃস্ফুর্ত উদ্যোগ মানবিকতার জয় গান ঘোষণা করে।  ব্যক্তি বা সংগঠনগত সহযোগিতার হাত ছিলো লক্ষনীয়। বিপরীতে সরকারী ত্রাণ চুরির ঘটনা ছিলো ব্যাপক ভাবে জন ধিক্কৃত।

করোনা রোগী এবং অমানবিক আচরণ

কোভিড-১৯ ভইরাস অতিমাত্রায় সংক্রমিত রোগ। মানুষ হতে মানুষে দ্রুত এবং সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। দূরত্ব বজায় রাখা আবশ্যক। রুগীর সাথে অমানবিক আচরণ কোন পরিস্থিতিতেই কাম্য নয়। কিন্তু ঘটেছে এসব। অতি অমানবিক কিছু ঘটনা। খুবই লোমহর্ষক। অসুস্থ মা, বাবা, স্বামী কিংবা সম্তানকে ফেলে দেওয়ার, রেখে চলে যাওয়ার মতোন ঘটনা। এটা আমাদের রাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও ব্যাধি সংক্রান্ত অজ্ঞাতার বহিঃপ্রকাশ। হাসপাতালে চিকিৎসা না পাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে, যদিও হাইকোর্ট এ সমস্ত কার্যকলাপকে ফৌজদারী অপরাধ হিসেবে রায় দিয়েছে।

অমীমাংসিত এবং অচল শিক্ষা খাত

১৬ই মার্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করা হয়। আজ অবধিও বন্ধ আছে। এরকম বৈশ্বিক এবং সংক্রামক সংকটে এটাই স্বাভাবিক। শৈশবেই, কৈশোরেই ফুসফুসে ভাইরাসের তান্ডব থাবা অভিভাবক হিসেবে আমিও মানতে পারিনা। রাষ্ট্রও পারেনি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করে যথার্থ কাজ করেছে। রাষ্ট্র সচেতন ভূমিকা নিয়ে সংসদ টিভিতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকদের জন্য ক্লাস সম্প্রচার করছে। ৭ই এপ্রিল হতে প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের জন্য চালু করেছে 'ঘরে বসে  শিখি' কার্যক্রম। এ কার্যক্রম সরকারকে সচেতন প্রয়াসে রোড পর্যন্ত নিশ্চিত করা উচিৎ এবং প্রাইভেট বিদ্যালয় সমূহের কার্যক্রম টোটালি বন্ধ আছে, এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিৎ।

ঈদ আনন্দ এবং ভাইরাসের বিস্তার

২৬শে মার্চে শুরু হওয়া সাধারন ছুটি ৭বার বর্ধিত হয়ে চলে আসে ৩০শে মে পর্যন্ত। এর মধ্যে ২৪-২৬শে মে ছিলো ঈদুল ফিতরের ছুটি। পৃথিবী সুদ্ধ ধর্মীয় আচার ও উৎসব অনেক পূর্ব হতেই সংকোচিত ছিলো। বাংলাদেশেও ছিলো। ছিলো মুক্ত চলাচলের বাঁধা। সন্ধ্যা ৬টা হতে ভোর ৬টা পর্যন্ত বাসা থেকে বের না হবার প্রজ্ঞাপন। ঈদ সামনে রেখে শিথিলতা নিয়ে আসা হয়। শুরুর দিককার বক্তব্য, আমরা করোনার চেয়েও শক্তিশালী কিংবা লকডাউন নয়, সাধারণ ছুটিতে বেড়াতে আসা জনগন এখনো সিরিয়াস নয় সরকারী নির্দেশনায়। ঈদ মার্কেটে জনভিড় আরও বাড়িয়ে দেয় করোনার বিস্তার।


কুয়াশার চাদরে ঢাকা পুরনো অসুর

করোনায় তটস্থ গোটা বিশ্ব। ইতালি, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইরানে নাকানিচুবানি। চিকিৎসা সংকট ও চিকিৎসায় অবহেলা দুটোই মিটআপ করা হচ্ছে দেশে দেশে। এর মধ্যে ধর্ষণ, খুন, ডাকাতি, ছিনতাই যেন কমে গেলো। ব্যাপারটা ছিলো আশার এবং ভালো লাগার। কিন্তু না, তা নয়। কুয়াশার চাদর ভেদ করে চোখে পড়ে পুরনো অসুর। সবাই যেন থমকে যায়। আসুরিক ভীবৎষতা দেখে।

ভাষাগত সংকট: জনগণ, রাষ্ট্র এবং মিডিয়া

লকডাউনের সময় ছিলো সেটা। ২৬শে মার্চ ঘোষনা করা হলো সাধারন ছুটি।  রাষ্ট্রের তৎপরতা লকডাউনের অনুরূপ। শব্দগত প্রয়োগে এটা রাষ্ট্রের ভুল। আইসোলেশন, লকডাউন যতোদিন পর বোধগম্য হলো, ততোদিনে কেল্লাফতে, মানে সব শেষ। দেশটার সব জেলা করোনার আশ্রম। সামাজিক দূরত্ব এবং শারীরিক দূরত্বকে এক রূপেই প্রচর হচ্ছে শুরু থেকেই। সামাজিক দূরত্ব কোন পরিস্থিতিতেই কাম্য নয়। আর এটা বোধগম্য করার প্রচেষ্টা মিডিয়া কিংবা রাষ্ট্র কারও ছিলো না, এখনো নেই আর নেই বলেই রোগীকে রাস্তায় ফেলে দেবার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেছে স্বয়ং রাষ্ট্র এবং মিডিয়া। সোসিয়াল ডিসট্যান্স শব্দটা বৈশ্বিক ভাবেই ভাষাগত সংকটকে প্রকাশ করেছে।

মরার উপর খাড়ার ঘা

সকল মহামারীতে জন জীবনের সংকট ক্রমশ ঘনীভূত হতে থাকে। চীনের সেই কোভিড-১৯ সমগ্র বিশ্বে কামড়  দিয়েছে ইতোমধ্যে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে দেশে দেশে। বাংলাদেশেও সে বৈরী হাওয়া প্রবাহিত হচ্ছে। যা ভাবছিলাম প্রথম থেকে তাই হলো। এটা ঘটে গেলো আমার শোবার ঘরে। পরদিন সকালে খোঁজ নিয়ে দেখি প্রতিবেশীর আরও তিন ঘরে এবং আমার মামার ঘরে ঘটেছে। জুন মাসের শেষ দিন। আজ মঙ্গলবার। জানা গেলো সেইম ঘটেছে আশপাশের কয়েকটি ঘরে। তারমানে চুরি, ডাকাতি, লুটপাট বৃদ্ধি পেয়ে গেছে ইতোমধ্যে। আর্থিক সংকটের যোগ্য মীমাংসা না আসলে এভাবেই সামাজিক অস্থিরতা বাড়তে থাকবে। এই সমস্ত পুকুর চুরি, নাস্তা বিল বিশ কোটি টাকা ইত্যাদি ঘটনা সংকট কালে সামাজিক অস্থিরতাকে উসকে দিচ্ছে, আরও দেবে। ভোগান্তি আপ টু বটম সকলেরই বাড়ছে।

ময়ূর এসে ধাক্কা দিলো মর্নিং বার্ডকে

মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। লঞ্চ দূর্ঘটনায় ত্রিশোর্ধ মৃত্যু। সুসময় কখোন আসবে! কখোন ফিরবে! ফিরবেনা?তের ঘন্টা পর পানির তলদেশ হতে জীবীত এক জন উদ্ধার। সুসময় ফিরে আসার সংবাদ গুলো এরকমই হয়। সহস্র মৃত্যুর ভিড়েও স্বপ্ন দেখায়। বুকে জাগায় আগামীর স্বপ্ন দেখার সাহস।

সুসময়ের অপেক্ষায় পৃথিবী

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরদেন নিজের ড্রয়িংরুমে মেয়েকে নিয়ে আনন্দে নাচতে থাকেন, সগর্বে জানান- আমরা করে দেখিয়েছি। সুসময় ফিরে আসার সংবাদ এরকমই হয়। নিউজিল্যান্ড প্রথম করোনা মুক্ত দেশ। খুব দ্রুতই,  হ্যাঁ, এটা সম্ভবত খুব দ্রুতই ঘটবে, যেদিন আমরা আমাদের সন্তানদের নিয়ে নাচবো। বলবো- ইয়েস, উই ক্যান। হ্যাঁ। হ্যাঁ, আমরা পারি। করোনা মুক্ত বাংলাদেশ, করোনা মুক্ত পৃথিবী- এই তো।

৩০শে জুন, ২০২০ খ্রিস্টাব্দ।

No comments:

Post a Comment