Wednesday, June 10, 2020

বাজেট ব্যবস্থাপনা - ভূবন মুন্সী



শ্রুত গল্পে জানি, কোন এক পয়গাম্বর একদিনের ঈশ্বরত্ব চেয়ে নেয় পরম ঈশ্বরের কাছ থেকে। সারা দিন শ্রম শেষে সৃজন করে অসম্পূর্ণ বাদর। মল ত্যাগের স্থান দিতে ভুলে যায়।

জনৈক অনার্য কৃষক কৃষির ঈশ্বরত্ব চেয়ে নেয় এক সিজন। পরিমিত জল আর ঝঞ্চাহীন পরিবেশে ধান গাছ এবনরমালি বেড়ে উঠতে থাকে। এক মাথা উচু গাছ। প্রচুর ধান বীজ। বীজের ভিতর চিটা। অথচ ঝড়ো হাওয়া পেলে শেকড় মাটির গভীরে যেতো। ধানে চাল হতো।

গল্প হতে যা শেখা যায়-  প্রভূত্ব শুধু প্রভূর হাতে মানায়। ভিন্ন হাতে যথাযথ বিধানে বৈকল্য আসে।

রাষ্ট্রীক ঈশ্বর-জনগন যদি বেমালুম ভূলে যায় তার ঈশ্বরত্ব অথবা কাক ঠুকরে খায় তার মসনদী প্রভূত্ব, তবে তলহীন সমস্যা তালগোল পাকিয়ে দেয় যাপনের মাঠে। ঈশ্বরত্ব, এটাতো শুধু ঈশ্বরের হাতেই যথাযথ।
ব্যাক্তি বিশেষ রাষ্ট্রিক ঠাকুর হয়ে যদি ঈশ্বরত্ব কেড়ে নেয় জনগনের হাত হতে, ঠাকুর যদি মহা প্রভূর ভাবে নিজেকে ব্যাস্ত রাখে, তবে চাওয়া সত্ত্বেও দিনান্তে দেশের পরিনতি মোটেই শুভ হয় না।

ছ'শতক চোখের দৃষ্টি কোন ভাবেই চৌত্রিশ কোটি চোখের দৃষ্টি কে ছাড়িয়ে যেতে পারে না। বরং ঐ ছ'শতকের দৃষ্টি মোটের তুলনায় ন্যাগলেজেবল। তাই সতেরো কোটি পূঁজারি কে বাদ দিয়ে তিনশো ঠাকুরের সিদ্ধান্ত কোন ভাবেই যৌক্তিক হতে পারে না বা তিনশো ঠাকুর কে ভরসা করে ভার দিলেও কোন ভাবেই যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেনা।

এটাই হবে কল্যাণের পথ- ঐ তিনশো ঠাকুর, যাঁরা পূঁজো ব্যবস্থাপনা কমিটিতে আছেন, তাঁরা যদি পূঁজো দিতে ইচ্ছুক সতেরো কোটি পূঁজারির বাঞ্চা শোনে তারপর ব্যবস্থাপনার পথে অগ্রসর হন এবং পূঁজারিদেরও উচিত আপনার দায় আমলে নিয়ে যথার্থ হওয়া।

এ সিদ্ধান্ত বা ব্যবস্থাপনাই হবে জগতে ঐশ্বিক ব্যবস্থাপনা। অন্যথায় অসম্পূর্ণ বাদর সৃজন হবে অথবা বস্তা ভর্তি চিটা নিয়ে ফিরতে হবে যাপন ঘরে।

২০১৮

No comments:

Post a Comment