Monday, June 1, 2020

হ-য-ব-র-ল - ভূবন মুন্সী


ভেবে ছিলাম গোয়ালে থাকবো। জাবর কাটবো। এখন দেখি কিতাবে। ঈশ্বর নিরুদ্দেশ হলেন। তারপর খোঁজতে বললেন। চোর পুলিশ ধরাধরি। ভগবান ভূত হয়ে বিরাজিত।

তারা নায়ক হবে। আমি আজন্ম ক্রীতদাস। ইবলিশ হাসছে। আমি নাকি ধর্ষিতা!
একটু বৃষ্টি হলে ভালো হয়। কিতাবের নাম টুকু মুছে যাবে। ওটা সুন্দর ছিলো। তবু আমার কলঙ্ক
তিলক।

কেন্নোর মতো গুটিয়ে যাবো। শত পর্দার আড়াল হবো।অনামীর অপমান নেই। ভুল দেখা শোনা বলা। বয়সে খায় জৈবিক চোখ। বোধের বিকলতা খেলো জেনেটিক চোখ। এখন অন্ধ সবে।

ঈশ্বরী হাসে নটীর মতো। দ্বিধা জন্ম নিলো। সে বললো আমি গিরগিটি।

চৈত্র মাস। হঠাৎই বেল পড়লো। প্রকৃতি শ্বাসরুদ্ধ ছিলো। রোদ হলো বেলের জন্য ঘুর্নিঝড়। বৃষ্টি এলেই থরে থরে জাম পড়বে। তালের দিকে কারো দৃষ্টি থাকেনা।আমরা অপ্রস্তুত ছিলাম।

রোদ ঈশ্বর দেয়। ব্যাথার মালিক নিয়ে কোন্দল আছে।
লোহার শিকল হাতে পায়ে থাকে। কখনো গলায়।অদৃশ্য শিকল হৃদে। তান্ডব লিলা। মগজে উইপোকার বাস।
ঘোৎ ঘোৎ শব্দ হচ্ছে চারপাশে।তারা কি অসন্তোষ!

ঈশ্বরময় হবার কথা ছিলো। জিবরাইলের মতো দু চারটি অহি দিয়েছে। বাদবাকি আজরাইল এর আচরন। অন্য সিফাত গঙ্গা তলে।

নাগরিক মন তৃষ্ণার্ত। কাক ডাকছে ভোর হতে। সকাল হলেই বিপদ। ক্ষত গুলো ঠিকরে বেরিয়ে আসবে।

No comments:

Post a Comment