Thursday, June 25, 2020

"কেমন পৃথিবী দেখতে চাই" - এবার তরুণ চিন্তাবিদ, কবি ও কমরেডের মুখোমুখি মেসেঞ্জার অব কসমোলজি।




জীবনকে ঘিরে সময় নিরিখে বদলে যায় প্রয়োজনীয় প্রত্যাশা, অনিবার্য দাবি, দাবি আদায়ের শপথ। সেই দাবি বা প্রত্যাশার যৌক্তিক দন্ডও সময় নিজে। সমাজিস্থিত কন্ডিশনাল ম্যাটার বা বাস্তব শর্তসমূহ জন্ম দেয় প্রয়োজন, প্রত্যাশার।  প্রাযুক্তিক বিকাশে বিশ্ব এখান গাঁয়ের চেয়েও ছোট। কিন্তু আমরা আমাদের সেকেলে রীতি নীতি সমেত এখনো in situ অর্থে মধ্যযুগীয় বা তৎপশ্চাৎ দেশীয়। নতুন সময়কে আইডেন্টিফাই করেই বৌদ্ধিক মানুষ ফুঁক দিচ্ছে নতুন বাঁশিতে, ধরিত্রীতে তুলতে চাচ্ছে নতুন সুর। সময়ের আহবান উপেক্ষা করার সাধ্য- সে তো ঈশ্বরেরও নেই।

Messenger Of Cosmology মুখোমুখি হয়েছিলো তরুণ চিন্তাবিদ, কবি ও কমরেডের। পড়ুন। স্বপ্ন দেখুন। আপনিও আওয়াজ দিন। ফুঁক দিন নতুন বাঁশিতে। কোমল সুরে সৃজন হোক, কংক্রিট সুরে ভেস্তে যাক জ্বরা, জীর্ণতা, প্রচলিত আচল পাড় ও আসুরিক পুরুষ।
মানুষ মুক্তি পাক। সম্পাদকীয়।

মানবজাতি, প্রকৃতি মেতে উঠুক খুঁনসুটির খেলায় - এ.কে.এম খাদেমুল বাশার।

ছোট একটা ভাইরাস দেখিয়ে দিলো এক নিমিষেই কিভাবে এই পৃথিবীকে বদলে দেয়া যায়। এই পৃথিবীর ওপর দিনের পর দিন যেভাবে অবিচার করা হয়েছে তা ভষাতীত। কালের পরিক্রমায় পৃথিবীর ওপর এ অসহনীয় অত্যাচার আর  কত সহ্য করার মতো ছিল। পৃথিবী এখন মানব জাতিকে বুঝিয়ে দিয়েছে সব সময় সহ্য করা আসলেই কতটা কঠিন। ভাইরাসের কারণে পৃথিবী এখন সেজেছে নতুন রূপে। চারদিকে গাড়ির হর্ণের কোন শব্দ নেই, সবুজের সমারোহে পাখির কলরবে মুখরিত চারদিক। এমনই এক পৃথিবীতো আমরা চাই। যে পৃথিবীতে থাকবেনা দূষণ, থাকবেনা কোলাহল, দৃঢ় হবে পারিবারিক বন্ধন, শিশু বন্ধী জীবনে থাকলেও বাবা-মাকে কাছে পেয়ে তার মন ঠিকই ভরেছে উৎফুল্লতায়। ভাইরাসের কারণে আক্রান্ত রোগী কোটির কাছকাছি গিয়ে পৌঁছেছে, মৃতের সংখ্যা লাখ পেরিয়েছে অনেক আগেই। এতোসব হিসেবের কাতারে পৃথিবীর মানুষ বুঝতে শিখেছে ঘরে বসেও কিভাবে সব কাজ করা যায়, কিভাবে ঘরে থেকেও পৃথিবীকে বদলে দেওয়া যায়। যদি এভাবেই পৃথিবীকে নতুন রূপে সাজিয়ে নেয়া যায়, তবে মানবজাতির এভাবেই পরিকল্পনা করা উচিৎ। শুধু মানুষই কেন এই পৃথিবীতে বাঁচতে চাইবে, বাঁচুক না আরো নাম না জানা লাখ লাখ প্রাণীকূলও। মানবজাতি, প্রকৃতি মেতে উঠুক খুঁনসুটির খেলায়। সে খেলায় অপরাজিত থাকুক দু'দলই। পৃথিবী ভরে উঠুক সুখে, বেঁচে থাকার মায়ায়।

মানসিক সুস্থতা ও মননের সুষ্ঠ বিকাশের দিকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন- হাসান রাকিব।



এই কথাও একদম অমূলক নয় যে চলমান করোনাকালীন এবং করোনা পরবর্তী পৃথিবীবাসী যে সংকটের মুখোমুখী হতে যাচ্ছে তা শুধুই অর্থনৈতিক নয় বরং মনস্তাত্ত্বিক বা মানসিক এবং বুদ্ধিভিত্তিক।
বোধ ও মননের জায়গা থেকে আমরা যথেষ্ট শক্তিশালী ও আদর্শিক হয়ে উঠতে পরিনি। আধুনিক জীবনসংকট, রাষ্ট্রসমস্যা, আগ্রাসী অর্থনীতি ও আধিপত্যের রাজনীতিতে আমারা জর্জরিত। বোধের কতটুকু যে সুবোধ তা নির্ণয় করা আজ দুরূহ। সমাজব্যবস্থা আমাদের শিখাচ্ছে যে সত্য আমাদের সবসময় সাহায্য করতে পারছে না। এ ধরনের জীবনের নানাবিধ আচরনিক কলাকৌশলে আমরা সব সময় একটা মানসিক অস্থিতিশীলতায় ভোগী। করোনা পরিস্থিতিতে বর্তমানের সংকট আর ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা আমাদের এই অস্থিতিশীলতাকে আরও গাঢ় করে তুলছে  আর তার সাথে রয়েছে অমীমাংসিত যৌন চাহিদার  মতো সমস্যা।
তাই এই পরিস্থিতিতে আমাদের মানসিক সুস্থতা ও মননের সুষ্ঠ বিকাশের দিকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। শুধুমাত্র অর্থনৈতিক ভোগে বিভোর না থেকে যেতে হবে শিল্প-সাহিত্যের কাছে, দর্শনের সান্নিধ্যে। খুঁজতে হবে- কীভাবে জীবনকে উপভোগ করতে হয়, অনুভূতি ও কল্পনার রস কীভাবে আস্বাদন করতে হয়।
নিশ্চিত করতে হবে চিন্তার স্বাধীনতা, বুদ্ধির স্বাধীনতা।
থাকতে হবে আত্মপ্রকাশের স্বাধীনতা তাহলেই অর্জন করা যাবে সঠিক মূল্যবোধ তথা   মানুষ্যত্ব।
এমনও তো হতে পারে পৃথিবীর পরবর্তী মহামারী হবে মনস্তাত্ত্বিক অথবা বুদ্ধিভিত্তিক।
নিশ্চিত করে বলা যায় কি কিছু?

মানুষ মানবীয় মর্যাদা ফিরে পাক - মোঃ ইয়াছিন মিয়া।




সত্য-সুন্দর একটা পৃথিবী চাই। পৃথিবীর হারিয়ে যাওয়া সতীত্ব ফিরে চাই। মানুষ মানবীয় মর্যাদা ফিরে পাক;
যেখানে ব্যাক্তিকে বায়োজাপ্ত করে পুঁজিবাদ।
মানিকের ঈশ্বরত্ব ঠাঁই নিক মানুষ নামটিতে।
এটুকুই চাই।

পৃথিবীটা আমার থেকে আমাদের হোক - মোঃ মমিন মিয়া



আমি রাত জেগে স্বপ্ন দেখি দিগন্তের মিছিলে প্রাণ এসেছে। নতুন সমাজ বিনির্মানে, ইতিহাস গড়তে মানুষ পাড়ি দিয়েছে পর্বত হিমালয়, নিজেদের ভাঙতে প্রতিনিয়ত নিজের সাথে যুদ্ধ আর সামাজিক মানুষ হওয়ার প্রত্যয়ে, আমি থেকে আমরা এই স্বপ্নটা দেখে
হেঁটে যাচ্ছে আগামী পৃথিবীর জন্য।


মানুষের পৃথিবীতে মানুষ বাঁচুক স্বস্থিবোধের কমল নিঃশ্বাসে - মোঃ শামীম মিয়া


পুঁজিবাদের গরম শ্বাস প্রশ্বাস আছরে পড়ে পৃথিবীর আনাচে কানাচে, জীবনে হয়ে উঠে নরকবাস। দ্বন্দ্বের বৈরিতা ভাগ করে দেই উচু নিচু স্তর, কেউ হয় পুঁজিপতি কেউ না খেয়ে খেয়ে চামড়া ঢুকে গেছে হাড়ের ফাঁকে। ভাগাভাগির স্মার্টনেস রক্ষার্থে সীমানায়, কাঁটাতারে ঝুলে থাকে তাজা প্রাণের গল্প।

পৃথিবীটা কি এখনও মানুষের হয়নি।

তবে আগামীটা যেমন চাই-

মানুষের পৃথিবীতে মানুষ বাঁচুক স্বস্থিবোধের কমল নিঃশ্বাসে, এই বাস গৃহের সব প্রাচীর ভেঙ্গে একাকার হয়ে গড়ে উঠুক মানবিক পৃথিবী। নতুন মানবীয় ব্যবস্থাপনায় অখন্ড বিশ্বগ্রামে প্রশান্তি নামুক। আসুন এক সাথে বাঁচি, বসুমাতার সন্তান হিসেবে একে অপরে হই সহযোগী, গৃহদাহ যুদ্ধ বাদ দিয়ে  আবার নতুন করে সাজাই ঘর- বোধের মানুষ, মানবিক মানুষের বাসযোগ্য পৃথিবী।

সংগ্রামটা তাই মানুষ হওয়ার মর্যাদায় আত্ম-অমানবিক প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে - মোঃ শামীম রেজা




রক্তজ প্রবণতায় আদিমতা, বিভাজনে দাসসুলভ, প্রভুত্বে সামন্ততান্ত্রিক এবং স্বার্থপরতায় পুঁজিবাদী চেতনার আকর সমূলে উৎপাটন করার সময় হয়েছে। জীবন এবং জগতকে ঘিরে যে মূল্যবোধ এবং সেই মূল্যবোধের উপর দাঁড়িয়ে যে মর্যাদাবোধ তা যদি মনুষ্যত্ব ও মানবিকবোধ উত্তীর্ণ হয়ে প্রকৃতজ স্বত্ত্বায় একাকার না হতে পারে একাকারের এই মহাক্ষণ মানব জাতীর জন্য মঙ্গলজনক হয়ে ওঠবে না।
সংগ্রামটা তাই মানুষ হওয়ার মর্যাদায় আত্ম-অমানবিক প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে।

No comments:

Post a Comment