কবি চেয়ে দেখেন- ভালোবাসার অভাবে এখনো অপূর্ণ মানুষ কিংবা হিংসার খেয়ালে ইতিহাস আজ অনেক ছোট। কবি সেকেলে হয়ে ওঠা জাতীয়তাবাদের বাইরে গিয়ে খোঁজতে চেয়েছেন নিজেকে, পেতে চেয়েছেন নিজের ও সামগ্রিকতার মুক্তি। নিঃশ্বাসে আজ মৃত্যুর গন্ধ। তাই কবি দেবতার পায়ে চুমু, কৃষ্ণচূড়ার ঠোঁটে চুমো দিয়ে নিজের ইচ্ছাকে ব্যক্ত করেন; পেতে চান মুক্তি, শান্তি, ভালোবাসা।
উৎসর্গ : ভূবন মুন্সী কে।
প্রকাশক : মেসেঞ্জার অব কসমোলজি।
প্রকাশ : আগস্ট, ২০২০ খ্রিস্টাব্দ।
স্বত্ব : মেসেঞ্জার অব কসমোলজি।
ভোরের বিদ্রোহী ঠোঁট
সময়ের দাবি
আমাকে একটু শান্তি দাও,
দেবতার পায়ে চুমু, বলছি
আমাকে একটু শান্তি দাও।
নিঃশ্বাসে আজ মৃত্যুর গন্ধ।
অসভ্য সেই মানুষের মুখোশ
খুলে দাও তুমি
আমাকে একটু শান্তি দাও।
স্বপ্নের ঘরে ভগ্ন স্বপ্ন।
মেধা শূন্য মানচিত্র
ভেঙে দাও অচলতা
আমাকে একটু শান্তি দাও।
আকালে আজ জ্বলছে পৃথিবী,
আমাকে একটু জায়গা দাও।
দেবতার পায়ে চুমু, বলছি
আমাকে একটু শান্তি দাও।
জাতীয়তাবাদ
আজকের এই রজনীতে তুমি আমি একাকার
নবজন্ম হলো পৃথিবীর।
তবুও কি প্রয়োজন আছে
বর্ডার কিংবা কাটাতার?
আরও পড়ুন - একবিংশ শতাব্দীর দুই দশক
২০২০
সময়ের কসম
পৃথিবী আজ অসহায়,
অসহায় আজ
যাঁরা প্রকৃত মানুষ।
রাজশ্রী
মাঝে মাঝে কলিজা পোড়ার গন্ধ পাই
সিগারেটের ধোঁয়া এখন অসহ্য লাগে
জেতার অভ্যাস ছেড়েছি সেই কবে
তাই হেরে যাবার ভয় তোমার নেই
মোহ আর মমতা জড়ানো আজ
জীবন কী কঠিন রাজশ্রী!
জাতক থেকে জন্মধাত্রী সবারই কলিজা
পুড়ছে আজ।
রাজশ্রী, তোমার কী কাজ?
আরও পড়ুন - সরকার জৈব ক্ষমতা দ্বারা জনগনকে নিয়ন্ত্রণ করে।
শুভ্রতা
ভোর বেলার বিদ্রোহী ঠোঁট
দুপুরের কড়া রোদে
সিগারেটের ধোঁয়ায় কালো
সমাপ্তি হলো জীবনের
এপাড় ওপাড়।
তবুও কি বাঁশি বাজবে
গাইবে গান পাখি নতুন সুরে
একাট্টা হয়ে সাজাবে সমাজ
পৃথিবী নতুন?
তুমি কী গাইবে ভোরের পাখি?
অভিন্ন ফটোগ্রাফ
চলোনা একে অপরের কান্না মুছে দেই
কৃষ্ণচুরার ঠোঁটে চুমো দিয়ে বলি
পৃথিবীটা আমাদের
চলোনা একই সুরে গাই গান
ভাঙা সীমান্ত প্রাচীরে মুক্ত করি পাখি
একতারাতে একতাল দেই দুজনার তর্জনীতে
দুটি তুলিতে আঁকি একটি ফটোগ্রাফ
চলোনা সামাজিক মানুষ হওয়ায় প্রত্যয়ে
কিছুটা পথ হাঁটি
দেখি আগামীটাকে একান্ত নিজের চোখে।
আরও পড়ুন - বেকারত্ব ও পরিবর্তনীয় ভবিষ্যতের হাতছানি।
ভালোবাসা পেলে বেঁচে থাকি
পানি তুমি কোথায় একটু চোখে আসো
ভালোবাসা তুমি কোথায় একটু কাছে আসো।
ব্যক্তিক চাওয়া পাওয়ার কাছে
বৌদ্ধিক চোখ গুলো এই আকালে ঘুমিয়ে আছে
মানবতা বলে কিছু নেই, মর্যাদা বলে কিছু নেই
হিংসার খেয়ালে ইতিহাস আজ অনেক ছোট।
এক থেকে একাধিক ভাবাটাই ভুলে গেছি আমরা
বুকের খাপটা খুলে একবারও দেখিনা আজ
অথচ বুকের ক্ষত নিয়ে মাঝে মাঝে চমকে উঠি
চেয়ে দেখি
ভালোবাসার অভাবে এখনো অপূর্ণ মানুষ।
অগোছালো জীবন যাপন
দিন শেষে স্বার্থের লেজ আর বেহায়া
উন্মাদনা, আত্মহত্যার চেয়ে জঘন্য আমি বারবার
বেঁচে থাকি।
নিজের হাতে তুলে নিয়েছি ধ্বংসের মরচে পড়া অস্ত্র,
প্রতিনিয়ত মৃত্যু হয় আমার চেতনার অভাবে।
জাল্লাদি চোখে লালসার দৃষ্টি আঁচড় করে আমার গায়ে, সময়ের ব্যবধানে যুদ্ধে যাবার ছেলেটা হারিয়েছে
তার মনুষ্যত্ব।
নিজের কামনার দৃষ্টি মায়ের উপর, জন্মভুমি আজ অসহায়, অসহায় আজ কিছু নটির দালালের কাছে।
একাত্তর থেকে আজ-অব্দি পুরনো ঘেঁউ ঘেঁউ,
সন্ধ্যা হলে নেমে আসে অন্ধকার।
কোথায় পাবো মুক্তি, এই অগোছালো জীবন যাপনে
কে দেবে আমায় মুক্তি আমার?
আরও পড়ুন
লেখা পাঠাতে যোগাযোগ করুনঃ
মেসেঞ্জার অব কসমোলজি পেইজ এ
মেইল করুনঃ
shimul2016.bsm@gmail.com
No comments:
Post a Comment