Tuesday, December 21, 2021

কবি তন্ময় সাহা'র আলোচনা- ২

কবি তন্ময় সাহার আলোচনা-২

কবি তন্ময় সাহা



ডুবে যাবো। যেহেতু ডুবে যাওয়া যায় এবং উদ্ধার করতে পারলে ডুবুরি পারিশ্রমিক দিয়ে আরো কিছু মানুষের হাসি ফোটাতে সক্ষম তাই ডুবে যাওয়াই শ্রেয়। 

জলে ডুবে যাবে নাকি অতলে? জল উপমা মাত্র আসলে সবই অতল, মনকে ধরা যায়! কতটুকো ভেদ করা যায় মাটির গর্ভ! ভেতরেও ডুবে যাওয়া যায়। 
ভেতরে ডুবে গেলে উদ্ধার করবে কে? উদ্ধার কর্তা হিসেবে তখন নিজেকেই আবির্ভূত করে মানুষ আর যাকে উদ্ধার করে তার কাছে থাকে গুপ্তধনের সুচারু নকশা, যার লোভে মুহুর্মুহু মানুষ আসতে থাকে এবং চাটতে থাকে পা। 

কেবল কিছু সংখ্যক মানুষ ডুবে যাবার বাসনা নিয়ে আসে, জানতে চায় কৌশল। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তি তখন জানিয়ে দেয় এবং মানুষ গুলো কিছু কিছু করে ডুবে যায় আবার কিছু ব্যর্থ হয়ে চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে। 

গুপ্তধন লোভীরা আসে-যায়, পথ বদলায়, পরিকল্পনা করে নকশা চুরির, গুমের এবং হত্যার। এরমধ্যে ডুবে যাওয়া মানুষ গুলোও ফিরে আসে গুপ্তধনের নকশা নিয়ে, এভাবেই চলতে থাকে লোভী এবং ডুবে যাওয়া মানুষের নকশার সাইকেল। 

এক রাস্তা থেকে বের হতে থাকে ক্রমশ অসংখ্য রাস্তা। 
কেউ ডুবে যাচ্ছে, কেউ লোভ করছে কেউ চুরি, গুম, হত্যা ইত্যাদি করছে, কেউবা আবার এদের শখ, বিলাসিতা, আপ্যায়ন এসব করছে। এতো এতো রাস্তা এক গন্ত্যব্য ঘিরে ধীরে ধীরে গড়ে উঠতে থাকে। 

কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে যাদের কাছে নকশা রয়েছে তারা কেউই গুপ্তধনের নকশা দেখতে পারে না, তার কারণ হচ্ছে দেখার জন্য যে আলোটা প্রয়োজন সেই আলোটা যার কাছে আছে সে বসে থাকেন গভীর অন্ধকারে, সেই অন্ধকার এতই অতল যে ডুবে যেতে যেতে মানুষ নবারুণের কবিতার ভাষায় বলে ওঠে "এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ নয়" এবং ফিরে আসে আবারো সেই নকশা হাতে। চলতে থাকে ব্যবসা-বাণিজ্য আর উনি অন্ধকারে বসে আলোর স্বপ্ন দেখান। 

আলোচনা-২ 
তন্ময় সাহা

No comments:

Post a Comment