Saturday, November 20, 2021

ধন্যবাদ, নতুন দলকে সুযোগ দেবার জন্য - মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল সুমন।

"ধন্যবাদ, নতুন দলকে সুযোগ দেবার জন্য"


মেসেঞ্জার অব কসমোলজি
Messenger Of Cosmology 




রাজনীতির ক্ষেত্রে জনগণ ও জনপদ ধ্রুব সত্য হলেও, রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে কাঠামোগত দিকটা গুরুত্বপূর্ণ আর কাঠামোগত দিকটা সময়ের সাথে বিবর্তিত হয়, বদলে যায়, বদলে নিতে হয়। কাঠামো এখানে যন্ত্র সদৃশ। বদলটাই অনিবার্য। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রিক কাঠামো আর স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রিক কাঠামো অভিন্ন রেখে আমরা যখন দেশ পরিচালনার জন্য সরকার গঠন করি, চেতনাগত দিক থেকে স্বাধীনতা ও পরাধীনতার পার্থক্য বুঝলেও কেবল বিগত পঞ্চাশ বছরে অধরা থেকে গেছে রাষ্ট্রীক কাঠামোর বিষয়টা। অর্থনৈতিক শোষণ ও নিপীড়নের জন্য বিদেশিদের হাতে গড়া রাষ্ট্র কাঠামোয় স্বাধীন দেশের সরকার বসা মাত্রই ব্যর্থতার শিকল গলায় জড়িয়ে যাচ্ছে। 'পান থেকে চুন আর তেল থেকে নুন' এর ব্যবস্থাপনায় জনপ্রিয়তায় তুঙ্গে থাকা সরকার প্রায় সর্বত্রই বারংবার গনবিরোধীর তকমা নিয়ে হাজির হচ্ছে। যেন যে লংকায় যাচ্ছে, সেই রাবণ!

দেশের ভালোর সাথে সবার ভালোটা জড়িয়ে থাকে বলেই-

হাজার বছরের ইতিহাস বিশ্লেষণ পূর্বক,
আমরা বলেছিলাম- বৃটিশ সৃষ্ট আইন, আদালত, আমলা, প্রশাসনে সাজানো রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনায় ডান বামের যত- আদর্শিক, দেশপ্রেমিক, যোগ্য, দক্ষ ও সৎ নেতৃত্বই আসুক না কেন তিনি ব্যর্থ হতে বাধ্য। 

রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনায় থাকা সরকার কে ব্যর্থতার 'দ্বায়' মুক্তির ঐতিহাসিক পথ ও পদ্ধতি নিয়ে ২০১৯ এর নির্বাচনের পূর্বে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষাত ছিল অতীব জরুরী। গণভবনে স্বাক্ষাত সিডিউলের জন্য আওয়ামী ঘরানার বহু রথী-মহারথী-সারথীর শরণাপন্ন হলাম, বিম্বিসার-অশোকের ধূসর জগতে,,,, অনেক ঘুরলাম।

কিন্তু ! না সাক্ষাৎ পেলাম, না পেলাম সিডিউল, বুঝলাম মক্কা বহুদূর!

দেশে যত বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা তার জন্য দ্বায়ী বিরোধী দল আর যা কিছু ভালো তা আওয়ামী লীগ এর! অর্থাৎ দেশের ভালো একমাত্র আওয়ামী লীগই চায় বা চাইবে। অন্য কেহ চাইতে পারে না কিংবা দেশ মানুষের জন্য ভালো কিছু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত যাওয়ার কোনো রাস্তা অন্তত আওয়ামী লীগে নেই। 

বি:দ্র: সরকার প্রধান কিংবা প্রধানমন্ত্রী কে নিয়ে স্পর্শকাতর, অরুচিকর বা নেগেটিভ না বলা পর্যন্ত (প্রশাসন বা সরকারী বাহিনীর কান খাড়াই হয় না) আর মিডিয়া তো অন্য জিনিস,,,, শুধু কুকুর কামড়ালেই নিউজ হয়, ভালো কিছু এদের নজরেই আসে না। সত্যিকার অর্থে নেগেটিভ বা কামড়া-কামড়ির সংস্কৃতিতে নিমজ্জিত হতে পারিনি বলেই হয়তো সরকার প্রধান আমাদের দিকে দৃষ্টি ক্ষেপণ করেননি। যাক সে সব কথা...

সাধারণ হিসেবে আমরাও এটাই চাই, রাষ্ট্রীয় মসনদে যে সরকারই থাকুক, সবার ভালো করুক, সবাই কে ভালো রাখুক। স্বাধীনতা নিঃসন্দেহে বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী এমন একটি সরকার দেখাতে পারেন? যে সরকার জনগণের সরকার! 

ব্যপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করলেও ২/৩ বছরের মধ্যে জনমনে যাকে নিয়ে বিরূপ, বিদ্বেষ বা অসন্তোষ দেখা যায় নি? 

রাষ্ট্র তথা দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে যাঁরা ব্যর্থ হননি?

পরিচালকের আসনে বসা মাত্র সবার সব ঐতিহ্য, অর্জন, উন্নয়ন তলানিতে ঠেকেনি?

আগামীতে আরো ঠেকবে, আরো পঁচবে- যে যত ভালোই হন না কেন। কারণ এটাই রাষ্ট্রতত্ত্ব বা সাইন্স।

ডান বাম নয়, আশু সমস্যা সমাধানের জন্য- হাঁটতে হবে 'দেশ' বরাবর।... এর বাইরে যে যত বেশি গা দোলাবে, চোরাবালিতে সে তত দ্রুত ডুববে।

রাজনীতি, রাজনীতির পথ বেয়েই বর্তমানে এমন পর্যায়ে চলে এসেছে,,,, যার দরুন ষোল কোটি বাঙালির হৃদয়ে গেথে থাকা 'নৌকা আর ধান' এর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি চিরতরে বিদায় নিতে যাচ্ছে,,,, অদূর ভবিষ্যতে। ডু অর ডাই। 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি অভয় দিলে মনের অব্যক্ত কথাগুলো  বলতে চাই, বাঁচতে চাই, সাথে সমগ্র দেশকে নিয়ে। 


লেখক-
মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল সুমন
গবেষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।



No comments:

Post a Comment